পান্না থেকে কলকাতায় বাঘমামা

চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি হলো বাঘ। আগে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে সাদা বাঘের দেখা মিললেও বর্তমানে চিড়িয়াখানায় কিন্তু সাদা বাঘের দেখা মেলা বেশ দুস্কর হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, চিড়িয়াখানায় বাস করা বাঘিনীরা নাকি চিড়িয়াখানার পুরুষ বাঘদের মোটেই পছন্দ করছে না। আর তার ফলেই বংশবৃদ্ধি ঘটছে না তাদের। তাই বারবার বাইরে থেকে বাঘ এনে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টায় রয়েছেন আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

      চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা কম না হলেও বাঘিনীদের জন্য মনপসন্দ পাত্র জোটানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের জন্য। তাই এবার বাইরে থেকে সৎপাত্রের আগমন ঘটেছে কলকাতায়মধ্যপ্রদেশের পান্না থেকে বিবাহযোগ্য পাত্র আনা হয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। জানা গেছে, পাত্রের বয়স পাঁচ বছর। এবং সে যে সে বাঘ নয়। একেবারে সাদা ধবধবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে কলকাতায় আনা এই বাঘটিকে চিড়িয়াখানায় থাকা বাকি বাঘদের বংশবৃদ্ধির কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

     বাঘেদের বংশবৃদ্ধির ব্যাপারে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি তাদের। এর আগেও বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি সাফারি পার্ক থেকে আনা হয়েছিল স্নেহাশিসকে। বর্তমানে পায়েল নামক একটি বাঘিনীর সাথে চলছে তার প্রেমপর্ব। এর আগেও দেখা গেছে, অন্দরে থাকা পুরুষ বাঘদের মোটেই মনে ধরছিল না পায়েলের। তার জন্য শিলিগুড়ি থেকে স্নেহাশিসকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্নেহাশিসের আসার আগেই থেকেই পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বাঘ আনার কথা ভাবা হয়েছিল। তারপর স্নেহাশিস আসার পর তার সাথেই পায়েলের বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া চালানোর কথা ভাবেন তারা। এরপরই আনা হয় এই নতুন বাঘটিকে। এই নতুন পুরুষ বাঘটি এবং শিলিগুড়ির স্নেহাশিস, দুজন মিলেই আপাতত বাঘেদের সংখ্যা বৃদ্ধির দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে।

     যে হারে চিড়িয়াখানা থেকে বাঘের সংখ্যা কমছে এরকম চলতে থাকলে কলকাতার চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখতে পাওয়া যাবে কিনা তা সন্দেহের অবকাশ রাখে না। তাই সেই অভাব মেটাতে এইভাবে বাইরে থেকে বাঘ আনার ব্যবস্থা করছেন তারা। আপাতত চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য এই দুই পুরুষ বাঘের উপরেই ভরসা রাখছেন তারা।

 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...