কালীঘাট মন্দিরের জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কলকাতা পুর কতৃপক্ষ। এবার মন্দিরের পুজোর ফুল কে পুনর্ব্যবহার করার জন্য যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জানা গিয়েছে যে, মন্দির সংলগ্ন এলাকার নির্দিষ্ট কোন স্থানকে চিহ্নিত করে বসানো হবে এই বিশেষ মেশিন। আরও জানা যায় কালীঘাট মন্দির সংস্কারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার রাখতেই এই বিশেষ ভাবনা। তা ছাড়া এই ধরনের পরিত্যক্ত ফুলকে সার হিসাবে ব্যবহার করলে বিষয়টি পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে পুজোর জন্য প্রচুর পরিমানে ফুল লাগে। কিন্তু ব্যবহারের পর এই ফুল গুলি বাইরে রেখে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মন্দিরের আশে পাশের এলাকা অপরিষ্কার হয়ে থাকে। তাই এই পরিস্থিতি বদলানোর প্রয়োজন বলে মনে করছে পৌরসভা।
ইতিমধ্যে সার তৈরির জন্য যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে ওই ব্যবহৃত ফুল গুলি থেকে সার তৈরি করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে জঞ্জাল থেকে সার তৈরির ব্যবস্থা আছে। এই সার অনেকে কিনে তারপর ব্যবহার করে থাকে। তাই পুর কর্তৃপক্ষ যদি আরো সার তৈরি করতে পারেন তাহলে তার একটি নিদির্ষ্ট বাজার গড়ে উঠবে। এই ভাবেই শহর থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করে শহর কে পরিবেশবান্ধব করে তোলা যাবে। যার ফলে ধাপায় জঞ্জাল ফেলার চাপ ও কম হবে। পুরসভার এই বিশেষ উদ্দোগ কে সমর্থন করে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশ কর্মীদের কিছু মানুষ। এই বিষয়ে পরিবেশ আধিকারিকরা জানান যে বর্জ পদার্থ বর্জনীয় নয়। তাকে সঠিক ভাবে পক্রিয়া করেন করলে তাকে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই বিষয়ে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত জানান যে কালীঘাট মন্দিরের ফুলের পুনর্ব্যবহারের জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্ব পূরণ পদক্ষেপ। শহরের জৈব এবং অজৈব বর্জ্য পৃথকীকরণের বেবস্থা করলে স্থানীয় মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবেন।
শহরকে দূষণ মুক্ত করতে এই ধরনের উন্নত পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া নালা গুলিতে যে ভাবে আবর্জনা ও ফুল যত্রতত্র ভাবে ফেলে দেওয়া হয় তার ফলে দূষণ বেশ বেড়ে যায়। তাই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য এই বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।