সম্প্রতী সারা দেশ জুড়ে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। আর স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা যার কলমে বারবার ফুটে উঠেছে তিনি বিশ্ববরেণ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।তার লেখনীতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল আপামর ভারতবাসী। তার জাতীয়তাবোধের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিল পাঞ্জাব-সিন্ধু-গুজরাট-মারাঠা সহ দেশের প্রতিটি মানুষ। সারা বিশ্বে তিনিই একমাত্র কবি যার লেখা গান দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মান্যতা পেয়েছে। এপার বাংলা ওপার বাংলা কাঁটাতারে বিভক্ত থাকলেও সুরের বাঁধনে দুটি দেশেরই মেলবন্ধন ঘটেছে। আবারও, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমেই আবারও জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেলো ভারতবর্ষ।
নোবেলজয়ী কবিগুরুর লেখা ‘ভারত-বিধাতা’ দেশবাসীর মনে চেতনার আগুন জ্বালিয়েছিল। দেশবাসীকে জাগিয়ে তোলার মন্ত্র ১৯১২সালে রচনা করেন বিশ্বকবি। এই কবিতা ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এটি মর্যাদা পায় পরবর্তীকালে। ১৯৫০সালে সরকারি ভাবে স্বীকৃত হয় এই গানটি। ১৯১১সালে জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সভায় প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল। নোবেল কমিটি স্বাধীনতা দিবসের দিনই ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করলেন। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কবিগুরুর হাতে লেখা ‘ভারত-বিধাতা’ গানের ইংরেজি অনুবাদের ছবি। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও দক্ষ ছিলেন কবিগুরু। এতদিন এই তথ্য অনেকেরই অজানা ছিল। শুধু ভারত নয়, এশিয়া মহাদেশের সর্বপ্রথম নোবেলজয়ী তিনি। তাঁকে বিশেষ মর্যাদা জানিয়েই স্বাধীনতা দিবসে এহেন উপহার দেওয়া হল ভারতবাসীকে।