ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘লাভ ইজ ব্লাইন্ড’। এই কথাটা যে কতটা সত্যি এবার সেটাই বুঝিয়ে দিল দক্ষিণ বারাসাতের মন্টু!
আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অমর প্রেমের গল্প।
দক্ষিণ বারাসাতের মন্টু জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। অন্যদিকে বাকি সকল মানুষদের মতোই অনিমাও জন্মেছিলেন সুস্থ। তবে, সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টি চলে যেতে থাকে তাঁর। তিনি দিনে স্পষ্ট দেখতে পেলেও রাতের অন্ধকারে তিনি কিছুই দেখতে পান না। দুজনে যেন একে অপরের জন্যই পৃথিবীতে এসেছিলেন।
মাঝেরহাট ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতেন মন্টু এবং অনিমা। সেখান থেকেই হয় তাদের আলাপ। শুরু শুরু লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলা আর তারপর একসঙ্গে বাড়ি ফেরা। এইভাবেই দুজুনের জীবনে প্রথম প্রেমের সূচনা।
এরপর ধীরে ধীরে প্রেম এগিয়ে যায় আরও এক ধাপ। বিবাহের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তাঁরা। প্রতিশ্রুতি নেন দুজনে একসঙ্গেই জীবন কাটাবেন। আর সেটাই পালন করে চলেছেন এত বছর ধরে।
সংবাদমাধ্যমে মন্টু জানিয়েছেন যে তিনি ৩০ বছর ধরে প্রতিটি মুহূর্তে পাশে পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী অনিমাকে। অনিমা নিজের হাতে ধরে মন্টুকে সব জায়গায় নিয়ে যান। তাই কখনও একা মনে হয়নি মন্টুর। এছাড়া দুই সন্তান আছে তাঁদের। এক ছেলে, এক মেয়ে। তাঁরা দুজনেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন এবং বর্তমানে দুজনেই কলেজে পড়াশোনা করছেন।
মন্টু পেশায় তবলা বাদক। ফলে, এই দম্পতি কোনওরকমভাবে এই তবলা বাজিয়ে আর গান গেয়ে সংসার চালাচ্ছেন। তাদের মতে এইভাবেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান তারা। আশা করেন সুখ –দুঃখ নিয়েই বাকিটা কাটিয়ে ফেলতে পারবেন মন্টু-অনিমা জুটি।