আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে এক ভয়ানক শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সাইবেরিয়ার আকাশে ঘটে গেছিলো এক তুমুল উল্কা বিস্ফোরণ। আকাশ ভরে উঠেছিল আলোর ঝলকানিতে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও হতে পারে বলে দাবি করলেন আমেরিকার লস আল্যামাস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী এবং অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনেই পদার্থবিদ স্যার পিটার ব্রাউন। জটিল এক অঙ্ক কষে তিনি জানিয়েছেন আগামী বছরে এক বিশালাকার গ্রহাণু ঢুকে পড়বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। আর বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ার ফলে এক প্রচন্ড শব্দ করে সেটি ফাটবে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। এই বিষয়ে মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছর জুনে যে উল্কাবৃষ্টিটি হবে তাতে থাকা গ্রহাণুর পরিমান কত তা জানার জন্য এখনো গবেষণা চলছে। প্রসঙ্গত, ১১০ বছর আগে সাইবেরিয়ায় হওয়া উল্কাবৃষ্টির ফলে, ধ্বংস হয়েছিল বহু গাছপালা, নদীনালা। মহাকাশে এক অজানা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলদের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিস্ফারিত হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেছিলেন, সেটি ছিল এক বিশাল "বিটা টরিড" উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যা সাধারণত বছরে দুইবার হয়ে থাকে। প্রথমটি হয় জুনের শেষে ও অপরটি হয় অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের শুরু এই সময়ে। যেহেতু এই উল্কাবৃষ্টি হয় দিনের বেলাযা তাই সচরাচর দৃষ্টিগোচর হয়না। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী জুন মাসে যে উল্কাবৃষ্টি হবে তাতে যতটা বড় গ্রহাণু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তা ১১০ বছর আগের বিস্ফোরণের সময় ছিল না। সেই সময়ের বিস্ফোরণটির ফলে হওয়া ভূমিকম্প মাত্রা ধরা পড়েছিল চাঁদে বসানো সিসমোগ্যাফে। এবারে তার থেকেও জোড়ালো ভূকম্পন হওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।