বাড়ির ভেতর বটগাছ

আমরা এখন চারদিকে গাছ কেটে ফেলার খবর শুনতে পাই। পরিবেশবিদরা এই নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছেন। এহেন সময়ে যদি শোনেন, এমন একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে একটি বট গাছকে সংরক্ষণ করার জন্য বিশেষভাবে একটি বাড়ি তৈরী হয়েছে, তাহলে ঠিক কেমন লাগবে?

     মধ্যপ্রদেশের কেশরওয়ানি পরিবারের পুরোনো বাগানে একটি বট গাছে বেড়ে উঠেছিল দীর্ঘ ১৫০ বছর ধরে। বলাই বাহুল্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছটি তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। বাড়িটির সদস্য যোগেশ কেশরওয়ানি জানান, ১৯৯৪ সালে এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর সাহায্য নিয়ে তার বাবা-মা বাড়িটি তৈরী করিয়েছিলেন। ১৫০ বছরের এই বটগাছটিকে কেটেই ফেলতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু তা না করে গাছের গায়ে কোনরকমভাবে আঘাত না লাগিয়ে বিশেষভাবে প্ল্যান করে বাড়ি তৈরী করেন। হিন্দুরা বটগাছকে পবিত্র গাছ হিসেবে মানে। তাই তাঁরা গাছটির পুজো করেন রোজ নিয়ম করে। বটগাছ কেটে ফেলা অশুভ বলেও মানা হয়। বটগাছে ৩৫০ কোটি দেবদেবীর বাস বলে মানেন হিন্দুরা। ধর্মগ্রন্থ গীতাতেও এই গাছের উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেশওয়ারি পরিবারের সদস্যরা। কোথাও বেরোতে হলেও বা কোনো শুভ কাজে গেলেও এই গাছের পুজো করেন তাঁরা।

     চার তলা এই বাড়িটি স্থানীয় এলাকায় ল্যান্ডমার্ক হিসেবে কাজ করে। বাড়িটি যখন তৈরী করা শুরু হয়, তখন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়ুয়ারা দেখতে আসত কি পদ্ধতিতে এবং কেমন নকশার মাধ্যমে বাড়িটি তৈরী হচ্ছে। ওই পরিবারের সদস্যদের কখনও মনে হয়নি, বাড়ির ভেতরে এত বড় বটগাছটি রয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও সমস্যারও সৃষ্টি করেনি ওই গাছটি। এই গাছটির মাধ্যমে ওই পরিবার সকলকেই পরিবেশ রক্ষার এক অনবদ্য উদাহরণ দিতে চান।

 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...