কালীপুজো আসতে আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। এই ক’টা দিন আলোয় মুড়ে থাকবে পুরো শহর। তবে, প্রতিটি জায়গায় মা কে বহু ভাবে পুজো করা হয়। এমনি এক পুজোর কথাই বলব আজকে।
আজকে বলব বালুরঘাটের রঘুনাথপুর-কালিকাপুরের কালী মায়ের কথা। এই পুজো তারাকালী পুজো নামে পরিচিত। এখানে নাকি আকাশে তারা থাকতে থাকতেই মায়ের পুজো ও একই সঙ্গে বিসর্জন, দুই’ই হয়ে যায়। স্থানীয়দের মধ্যে এই পুজো ঘিরে উন্মাদনা থাকে একেবারে তুঙ্গে।
কিন্তু কেন এই নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক তারাকালী মায়ের ইতিহাস।
কথিত আছে যে ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে শতাব্দী প্রাচীন এই কালীর পুজো করত এবং রাতের আকাশে তারা থাকতে থাকতেই তাঁরা ফিরে গিয়ে মায়ের বিসর্জন দিত।
তবে, ডাকাতদের সেই পুজো এখন এলাকার সাধারন মানুষের। এখন এলাকার বাসিন্দারা প্রথা মেনে চাঁদা তুলে পুজো করছে। তবে এখানে এখনও মা কালীর স্থায়ী কোনও মন্দির নেই। মণ্ডপের খোলা স্থানটিতে খড়ের অস্থায়ী ছাওনি দিয়ে পুজো হয় এবং পুজো শেষ হতেই ছাউনি খুলে ফেলা হয়। এইটাই এই পুজোর রীতি। এছাড়া জানা গিয়েছে যে এখানে বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন মা কালী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে শোনা যায় যে এই তারা পুজো শুরুর সঠিক সময় এখনও অজানা। বহু যুগ ধরে চলে আসছে এই পুজো। তাদের মুখেই শোনা যায়, ডাকাতরা এই পুজো করে ডাকাতি করতে যেত।
জানা যায় যে একসময় বাংলার বিভিন্ন প্রাচীন পুজোগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল শুধুমাত্র লোকের অভাবে। ঠিক তখনি ডাকাতদের চালু করা এই পুজো পরিবর্তন হল বারোয়ারী পুজো হিসেবে।