রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। সেই ধারা বজায় রেখে আরও কিছু নির্দেশিকা জারি হল শিক্ষাক্ষেত্রে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কি পড়ানো হবে, তার লক্ষ্য বেঁধে দিল সরকার। শিক্ষার্থীদের সামর্থ অনুযায়ী ক্লাস ভিত্তিক শিক্ষন ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। সেই অনুযায়ী স্কুল শিক্ষা দফতর বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে সিলেবাস তৈরী করছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিকভাবে পড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি নির্দেশিকা পোস্টার আকারে পাঠানো হয়েছে। সরকারই নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী অব্দি কতটা পড়াশোনা করবে। কোনো শ্রেণীতে পরীক্ষা দেওয়ার পর তারা যদি পরবর্তী শ্রেণীতে প্রমোশন না পায়, তাহলে তার দায় বিদ্যালয়ের ওপর বর্তাবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণীর বাংলা ভাষায় শিশুদের জানতে হবে বর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরী করা, স্বরবর্ণ জ্ঞান, সহজ প্রশ্নের উত্তর বলা, জীবনীমূলক শিক্ষা। সামাজিক কাজকর্ম বিষয়ক রচনা শুনতে ও বুঝতে পারা। যুক্তব্যঞ্জন নেই এমন রচনা পড়তে ও লিখতে পারা, গণিতের ক্ষেত্রে বস্তুর সঙ্গে সংখ্যার মিল, যোগ বিয়োগের ধারণা, বাস্তব পরিস্থিতিতে মুদ্রা ব্যবহারবিধি, সপ্তাহের সব দিনের সঙ্গে পরিচিতি, ১ থেকে ১৯ পর্যন্ত সংখ্যা পড়তে ও লিখতে পারা, শূন্যের ধারণা, সরল ধাঁচগুলি চিনতে পারা। ইংরেজিতে জানতে হবে- ভাওয়াল ও কনসোনেন্ট, শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন, ছোট হাতের এ থেকে জেড পর্যন্ত। পরিবেশের ক্ষেত্রে জানতে হবে, টয়লেট ব্যবহারবিধি, খাওয়ার অভ্যাস, পথ নিরাপত্তা, শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম এবং সেগুলোর কার্যকারিতা। এমনই আলাদা আলাদা পাঠ্যক্রম করে দেওয়া হয়েছে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। শিক্ষকদের তা মেনে চলতে হবে। এইরকমই বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। যদি এইভাবে নিয়ম করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই তারা পঞ্চম শ্রেণীতে যখন উঠবে, তখন বেশ কিছু বিষয় সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান তৈরী হবে।