চারিদিকে পুজো-পুজো রব শুরু হয়ে গিয়েছে। রাত পোহালেই মহালয়া। ভোরে রেডিয়োতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ শোনার রীতি বাঙালির যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে শুধু রেডিয়ো না টেলিভিশনের পর্দায়, মহালয়া দেখার উৎসাহ কম থাকে না। প্রতিবারই কোন চ্যানেলে কে হবেন দেবী দুর্গা, বা মহিষাসুর, এই নিয়ে আপামর বাঙালীর কৌতূহল থাকে। এছাড়াও অন্যান্য দেব-দেবী কিংবা দুর্গার অন্যান্য রূপে কারা অভিনয় করবেন, তা দেখার জন্যও অপেক্ষা করে থাকেন দর্শকরা। প্রতিবার বিভিন্ন টিভি চ্যানেল নতুন কিছু উপহার দেন দর্শকদের। যেমন এ বছর ‘সোনার বাংলা’য় দেবী রূপে দেখা যাবে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী চারুলতা প্রামানিককে। বাংলা টেলিভিশনের মহালয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও রূপান্তরিত নারী দেবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
চারুলতা জানিয়েছেন, 'অচলায়তন ভেঙে একটি দৃষ্টান্ত তৈরী করল এই মহালয়া। পরিচালক ও প্রোডাকশন হাউসের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। সেই সঙ্গে আশাবাদী যে আগামী দিনেও লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি, ধর্ম এসবের ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রতিভার মূল্যায়ন করে বিভিন্ন চ্যানেল এগিয়ে আসবেন রূপান্তরিত শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার জন্য।'