বিয়ের আগে কতকি পরীক্ষাই না করা হয়।কুষ্ঠি মিলছে কিনা তা যেমন দেখা যায়, অনেকক্ষেত্রে আবার রক্তপরীক্ষাও করা হয়। থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষাও অনেক বিয়ের আগেই দুপক্ষের বাড়ি থেকে করিয়ে নেওয়া হয় জাতির ভবিষ্যতে তাদের সন্তানের উপরে কোনো প্রভাব না পড়ে। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি বিয়ে করতে আসা বরের নিঃশ্বাস পরীক্ষা করা হচ্ছে?
সম্প্রতি, খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে গুজরাটের গান্ধীনগর জেলা। বিয়ের আগে পাত্রের এবং তার পরিবারের কেউ নেশা করে বিয়েবাড়িতে এসেছে কিনা জানার জন্যই এই অভিনব উদ্যোগ। শুধু পাত্রই নয়, অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসা সমস্ত অতিথিদের নিঃশ্বাস পরীক্ষাও করা হয়েছে সেই বিয়েবাড়িতে। জানা গেছে, গান্ধীনগরের পিঁয়াজ গ্রাম মূলত ঠাকুর কমিউনিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে থাকে। বিয়ের দিন মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে প্রায় ২৫ জনকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।বিয়ের দিন বরসহ তার পিতা এবং বাড়ির সমস্ত পুরুষ সদস্যদের নিঃশ্বাস পরীক্ষা করা হয়। পাত্র যদি এই পরীক্ষায় ফেল করে তাহলে আর ছাদনাতলার দিকে নয় সোজা ফিরে যেতে হবে বাড়ির দিকে। জানা গেছে, শুধু বিয়ে ভাঙ্গাই নয়। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিয়ে করতে এলে কন্যে পক্ষের হাতে ক্ষতিপূরণবাবদ পাত্রপক্ষকে তুলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা।
নেশা করে এসে বাড়িতে স্ত্রী বা পরিবারের অন্য সদস্যের উপর করা অত্যাচার কমাতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠ মানুষজন একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা গেছে, এই নতুন নিয়মটি চালু করার পর বেশ ভালো সারা মিলেছে। আগে গ্রামেগঞ্জে দেখা যেত বিয়ের আগেই নেশা করে বসে আছে পাত্র কিংবা পাত্রের পরিবারের কেউ। নতুন এই নিয়ম আসার ফলে সেই অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামের মানুষজন।