বিশ্বের প্রথম ফোল্ডিং বাড়ি

কথায় বলে বাড়ি বানানো কি চাট্টিখানি কথা? কম হ্যাপা? কত সময়ই না লাগে! তা ঠিক। কিন্তু ঠিক কত সময় লাগতে পারে? যদি বলি মাত্র ২৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে দশতলা ভ্রাম্যমান, ফোল্ডিং বাড়ি বানানো সম্ভব,তাহলে?সেই অনুপাতে একতলা বা দোতলা বানাতে কত সময় লাগতে পারে? আপাতত সেই হিসেবে না গিয়ে এমন ‘ওয়ান্ডার হাউসের’ সন্ধান দেব আজ।

আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই বাড়ি। সময়ের বিপুল অপচয় বন্ধ করতেই চীনের চাংশা শহরে ইঞ্জিনিয়াররা মাত্র ২৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একটা দশতলা বাড়ি, তাও মাত্র জনা পঞ্চাশেক শ্রমিকের সাহায্যে। ১৬ জুন নিউ অ্যাটলাস গ্রূপ থেকে শেয়ার করা ৫মিনিটের এক ভিডিও সেই প্রমান, আর স্বাভিকভাবেই ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো সেলিব্রিটি এই বাড়ি।

কিন্তু কিভাবে ঘটল এই ঘটনা। আসলে চীনের চাংশা শহর বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় পরিস্থিতির কথা ভেবেই এই অভিনব প্রযুক্তির প্রয়োগ করছেন ইঞ্জিনিয়াররা।

wonderhouse

এই বাড়ির বৈশিষ্ট্য হল এখানে কোনো ভিত নেই, মাটির সঙ্গে গাঁথা খুঁটিতে ভর দিয়েই টিকে থাকবে সে। ইট নয়, এই বাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বোল্ডার। প্রয়োজন পড়লে গোটা বাড়িটাই একসঙ্গে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বা এক একটি বোল্ডার খুলে আলাদাভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে অন্যত্র। ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দেখা গেলেই সাময়িকভাবে গুটিয়ে রাখা যাবে বাড়ি। ইঞ্জিনিয়ারদের নিরলস তত্ত্বাবধানে ৩টি ক্রেন,জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক মিলেই তৈরি করেছেন বাড়িটি। ক্রেনের সাহায্যে একটি বোল্ডারের উপর আরেকটি বসিয়ে সেগুলি জোড়া হয়েছে নাট-বোল্ট দিয়ে। বাকি শুধু ইলেক্ট্রিক এবং জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ। এমনিতেই কথায় বলে চীনা, জাপানিরা সময় নষ্ট করে না, কিন্তু সময়ের অপচয় রোধে আর তার মূল্য বোঝাতে গোটা বিশ্বে এই ‘ওয়ান্ডার হাউস’ চীনা ইঞ্জিনিয়ারদের এক নজিরবিহীন সাফল্য বলাই চলে। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই বাড়ি এখন সেলিব্রিটি। তাই চাইলেই আপাতত দূর থেকেই সাক্ষাৎ করতেই পারেন বিশ্বের প্রথম ভ্রাম্যমান, ফোল্ডিং বাড়ির সাথে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...