আশ্বিন মাসেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি বা আকাশে মেঘের ঘনঘটায় বাঙালিদের এখন একটাই চিন্তা, বৃষ্টির জন্য পন্ড না হয়ে যায় তাদের পুজোর প্ল্যানিং। কিন্তু একটি পূজা কমিটি হয়ে তারা চাইছে বৃষ্টি হোক। কেন এমন ভাবছে খিদিরপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা? তার কারন এইবছর তাদের থিম “জল সংরক্ষণ”। বিশ্বউষ্ণায়নের ফলে ধীরে ধীরে কমে চলেছে ভূগর্ভের জলস্তর। জলের অপচয় ও জলের অপব্যাবহারের ফলে চারিদিকে দেখা দিয়েছে জলের হাহাকার। তাই জল সংরক্ষনকে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে তাদের পূজা মন্ডপ।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপলক্ষে জিয়ো বাংলা স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক অভিজিৎ দাস ও দুইজন কোষাধ্যক্ষ রাহুল মুখার্জী ও অনিকেত বর্ধন।
৯৩তম বর্ষে পদার্পন করল তাদের পুজো। দ্বিতীয়ায় প্রতিমা শিল্পী বা প্যান্ডেল তৈরীর নেপথ্যে যার থাকেন তাদের হাত ধরে শুভ উদ্বোধন হবে তাদের এইবছরের দুরগোৎসবের। তাদের সন্ধ্যি পুজো দেখতে অষ্টমীর দিন ভিড় করে বহু দর্শনার্থী। নবমীর দিন পাড়ার সকলে মিলে পুজো উপলক্ষে ডান্ডিয়া নাচ করে থাকেন বলে জানান তারা। ৯৩ বছর ধরে দশমীর দিনই বিসর্জন হয় তাদের পুজোর। এইবছরেও তার কোনও ব্যাতিক্রম হবে না বলে জানান তারা। পুজোর চারটি দিন নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয় মন্ডপ প্রাঙ্গন। ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে মোতায়েন করা হয় বহু পুলিশকর্মী।
দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রো-এ উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সদন, সেখান থেকে খিদিরপুরগামী যে কোনও বাসে করে খিদিরপুর বাজার সংলগ্ন ওয়াটগঞ্জ থানার নিকট অবস্থিত এই পূজা মন্ডপ।