স্কুলে ভর্তির পরপরই ছোট্ট মেয়েটাকে সকলের সামনে হেনস্থা করত সহপাঠীরা| সেই ঘটনা শিশুমনে এতটাই প্রভাব ফেলে দিয়েছিল যে তখনই সে প্রতিজ্ঞা করেছিল তার মত আর কেউ ভুক্তভোগী না হয়| তিক্ত অভিজ্ঞতা আর জেদ এই দুইয়ের মিলিত ফসল ‘অ্যান্টি-বুলিং অ্যাপ’| মেঘালয়ের শিলংয়ের বাসিন্দা, নোংথাম্মাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মিয়াইদাইবাহুন মাজাওকে তৈরি করেছে এই অ্যাপটি| এখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি হোয়াইট হ্যাট জুনিয়র প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রথম ২০ জন শিশুর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে সে| এই অ্যাপটির মাধ্যমে স্কুলে বা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্থার সম্মুখীন হলে সরাসরি প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেণি-শিক্ষিকা বা অভিভাবকদের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন|খুব তাড়াতাড়ি গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাবে|
স্কুলে সহপাঠী এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপের শিকার হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের| ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভারতে ৪২ শতাংশ পড়ুয়া নিয়মিত হেনস্থার শিকার হয়| মাজাও-এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল| কিন্তু ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভেঙ্গে না পড়ে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পথ খুঁজে নিয়েছে সে| সে জানিয়েছে, বিদ্রুপ যারা করে তাদের মাথায় থাকা উচিত এই কাজ করে তারা কোনদিনই নিজেকে বড় প্রমান করতে পারবে না| সে এমনভাবে অ্যাপটি তৈরি করেছে যেখানে শুধু স্কুল নয়, কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও হেনস্থা ও বিদ্রুপের কথা তুলে ধরতে পারবে। রিপোর্ট করতে পারবে সাইবার হেনস্থার বিরুদ্ধেও।