অনেকসময়ই নানা ঘটনা বা দুর্ঘটনার কারণে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন। ঐতিহাসিক কিছু জায়গা যা একসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো তাও একদিন হারিয়ে যায় কালের গর্ভে। সেরকমই একটি নিদর্শন বা জায়গার খোঁজ আবারো পাওয়া গেছে। সম্প্রতি খোঁজ মিলেছে ৮০০ বছরের পুরোনো একটি গোপন সুড়ঙ্গের। এককালে মাটির তলায় হারিয়ে যাওয়া এই সোনার সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে ইজরায়েলে। এর সাথে সাথে সেইসময়ের সেনাদের বা যোদ্ধাদের একটি গোপন সদর দফতরের খোঁজ ও মিলেছে সেখানে।
ভূতত্ববিদরা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক লেজার রশ্মি ব্যবহার করে খোঁজ পাওয়া গেছে এই সুড়ঙ্গের। এখন এই সমস্ত সম্পত্তি খালি তুলে আনার অপেক্ষা। জানা গেছে, একাদশ শতকের ধর্মযুদ্ধের সময়ে ইজরায়েলের শহর একরির নিচে খ্রিস্টানরা একটি সুড়ঙ্গ কেটেছিল। ইজরায়েলকে মুসলিম আধিপত্য থেকে মুক্ত করার জন্য ছিল সেই ধর্মযুদ্ধ। মুসলিম ধর্মের সমাপ্তির পর খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তনই ছিল সেই ধর্মযুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য। আর এই ধর্মযুদ্ধের সময়ে এই শহরটিই ছিল যোদ্ধাদের সদর দফতর।আর এই গোপন সদর দফতরের খোঁজ যাতে কেউ না পায় তার জন্য এই দফতরে পৌঁছানোর জন্য মাটির অনেক নিচ দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল এই সুড়ঙ্গটি। এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেই যোদ্ধারা সদর দফতরে পৌঁছাতেন। এই সুড়ঙ্গ দিয়েই যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং প্রচুর সোনা নিয়ে যেতেন। তাই এই সুড়ঙ্গটির নাম হয়ে যায় 'সোনার সুড়ঙ্গ'। সোনা নিয়ে যাতায়াতের রাস্তা এটা হলেও যুদ্ধে আঘাতপ্রাপ্ত সেনাদের পালানোর জন্যও ব্যবহৃত হতো এই রাস্তাটি। ইজরায়েলের ইতিহাস থেকে মাটির নিচে থাকা এই সুড়ঙ্গ ও সদর দফতরের কথা সকলের জানা থাকলেও শহরের ঠিক কোন জায়গায় তা রয়েছে তার হদিস ছিল না কারোর কাছেই।
এই প্রথম ৮০০ বছর পুরোনো সুড়ঙ্গের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানী লিন। তবে মাটির ঠিক কতটা নিচে সুড়ঙ্গটি অবস্থান করছে এখনো জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সুড়ঙ্গটি ঠিক কতটা নিচে রয়েছে এবং ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা এখনো করে চলেছেন ভূতত্ববিদরা। এই অঞ্চল দিয়ে যেহেতু সোনা নিয়ে যাতায়াত করতেন তখনকার যোদ্ধারা তাই এই অঞ্চলটি ভালো করে খুঁড়লে মাটির নিচ থেকে কিছু সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভূতত্ববিদরা।