কোচবিহারের রবীন্দ্রভবন স্থানীয় মানুষের কাছে যথেষ্ট নিজের জায়গা হিসেবেই পরিচিত। স্থানীয় যে কোনো অনুষ্ঠান করার একমাত্র এই জায়গা যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য। কিন্তু সেই মান্ধাতার আমলের পরিকাঠামো ব্যবস্থাই রয়েছে এখানে। তাই এই ভবনটির পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো যথেষ্ট প্রয়োজন। এই প্ৰয়োজনীতার কথা মাথায় রেখেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কোচবিহার রবীন্দ্রভবনকে আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা হয়েছে। কোচবিহার জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন সাগরদীঘির পাড়ে 'উৎসব' নাম একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরী হয়েছে। এই প্রেক্ষাগৃহটি যদিও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের যথেষ্ট পছন্দ হয়েছে, তবে এটির ভাড়া বেশ বেশি। তাই রবীন্দ্রভবনই ভরসা। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই রবীন্দ্রভবনের সংস্কারের ভাবনা। হলের অধিকাংশ চেয়ার ভেঙ্গে গিয়েছে। হলের সাউন্ড বক্সগুলির মান যথেষ্ট খারাপ। এগুলি সব ঠিক করা হবে। উন্নতমানের আরামদায়ক চেয়ার, সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হবে। তাছাড়া এসি-ও লাগানো হবে। গোটা হলটির আমূল সংস্কার করা হবে, অন্দরসজ্জাতেও পরিবর্তন আনা হবে এবং ব্যালকনিতে পরিবর্তন করা হবে। মঞ্চসজ্জাতেও পরিবর্তন আসবে। পানীয় জল, আলো, শৌচাগারেও থাকবে আধুনিকতার ছাপ। এই সব করতে মোট খরচ হবে ৮ কোটি টাকা। এইভাবে একেবারে নতুনরূপে দেখা দেবে কোচবিহারের রবীন্দ্রভবন। অল্প খরচে আধুনিক হলের সুবিধা পাবেন কোচবিহারবাসীরা। বাংলা তথা উত্তরবঙ্গের রাজকীয় জায়গা কোচবিহার বাঙালির অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। এখানকার রাজবাড়ির ঐতিহ্য আজও বর্তমান। এই শহরও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিচিত নাম। তাই রবীন্দ্রভবনের সংস্কার শহরের সাংস্কৃতিক মহলে খুশির আবহ এনে দিয়েছে।