১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধিনতা দিবস| একজন ভারতীয়ের কাছে এই দিনটির গুরুত্ব অনেক| ১৯৪৭ সালে এই দিনটিতে ব্রিটিশ রাজশক্তির থেকে মুক্ত হয়ে ভারত উপমহাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ হিসাবে মর্যাদা পায়| প্রথমে ব্রিটিশরা ভারতে তাদের বানিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করে ও পরবর্তীকালে এদেশে তাদের শাসন ব্যবস্থা কার্যকর করে এবং তারই ফলস্বরূপ ২০০ বছর ভারত ছিল ব্রিটিশ শক্তির কাছে নতমস্তক| কিন্তু শত আন্দোলন, প্রতিবাদ ও দাঙ্গার পরেও ব্রিটিশ রাজ এদেশে তাদের শক্তি বজায় রেখেছিল| ভারতীয়দের একপ্রকার তাদের ভৃত্য হিসাবে প্রতিপন্ন করেছিল তারা| শুধু তাই নয় ভারতীয়দের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণের পাশাপাশি হিন্দু ও মুসলিমের দাঙ্গা তৈরী করাতেও বৃতিশ্বাহিনী যথেষ্ট তত্পরতা নিয়েছিল | কিন্তু এসবের পড়ে ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ইংল্যান্ডের রাজকোষ শুন্য হয়ে আসে তখন ব্রিটিশ বাহিনী বুঝে এমতাবস্থায় তাদের ভারতের অপর ক্ষমতা কায়েম রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হবে| এই সময় ঘোষণা করা হয় যে ১৯৪৮ সালের ৩০শে জুনের মধ্যে ভারতকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করা হবে যদিও সেই প্রক্রিয়াকরণ এগিয়ে আনেন তত্কালীন নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটন|শত আলাপ আলোচনার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট বহু প্রানের বিনিময়ে দ্বিখন্ডিতভাবে একটি স্বাধীন দেশে পরিনত হয় ভারতবর্ষ| স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু| দেশভাগের ফলে বহু শরণার্থী অন্যত্র জায়গা নেয়| বহু মানুষ হয় গৃহহারা | প্রাণ দিয়ে গেছেন বহু দেশপ্রেমিক| মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু , মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকি, বিনয় বদল দীনেশ, ভগত সিং থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশপ্রেমিকদের অবদান আজকের এই দিনে বিশেষভাবে স্মরনীয়| আজ ৭২তম স্বাধীনতা দিবসে জিওবাংলার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|