কলোসিয়াম,ইতালী
এটি ইতালীর রোম শহরে অবস্থিত।উপবৃত্তাকার এই স্থাপত্যটির নির্মাণ শুরু হয় ৭২ খ্রীষ্টাব্দে এবং শেষ হয় ৮০ খ্রীষ্টাব্দে। ৮০ হাজারের ও বেশী আসন সংখ্যা সমৃদ্ধ এই স্থাপত্যটি গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রতিযোগিতা এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হতো। ভুমিকম্প ও পাথর চোরাকারবারির অত্যাচারে কলোসিয়ামের একাংশ ভেঙে পড়লেও আজও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে আছে কলোসিয়াম।
কম-এল-শকাফা, ইজিপ্ট
মিশরের অ্যালেক্সজান্ড্রিয়া শহরে অবস্থিত এই সমাধিস্থলটি মধ্য যুগের এক অন্যতম আশ্চর্য। সময়ের সাথে সাথে নিখোঁজ হয়ে যায় এই সমাধিস্থল। ১৯০০ সালের আচমকাই সন্ধান পাওয়া যায় এই কবরখানার, যখন নিকটবর্তী বসতির গাঁধা মুল প্রবেশদারের ফটকে পড়ে যায়।
মহাপ্রাচির, চিন
বহিরাগত যাযাবরদের আক্রমণের হাত থেকে রাজ্যকে রক্ষা করার জন্য চিনের প্রথম সম্রাট কিন-শি-হুয়াং-তাই ২২০ থেকে ২৬০ খ্রীষ্ঠপুর্বাব্দে এই ৮৮৫০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই প্রাচীর তৈরী করে। চিনের প্রাচির মানবসভ্যতার একমাত্র স্থাপত্য যা চাঁদ থেকে দেখা যায়।
পোরসিলিন টাওয়ার, চিন
কুইনহুই নদীর দক্ষিন তীরবর্তি অঞ্চলে নানজিং শহরে এই স্থাপত্যটি অবস্থিত।মিং সামরাজ্যের শাসনকালে ৯টি তলার এই প্যাগোডাটির নির্মাণ করা হয়। উনবিংশ শতাব্দীর তাইপিং বিদ্রহোর সময়ের বিদ্রহিরা সম্পূর্ণ রুপে প্যাগোডাটি গুড়িয়ে দেয়।
হাজিয়া সোফিয়া, তুরোস্ক
তুরস্কোর রাজধানী শহর ইস্তানবুলের এই স্থাপত্য সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে খ্রীষ্টান ধর্মীয়দের ক্যাথিড্রাল ও মুসলিম ধর্মীয়দের মসজিদের রুপ ও পালন করেছে। হাজিয়া সোফিয়া ৫৩৭ খ্রীষ্টাব্দে থেকে ১৪৫৩ সাল অবধি ইস্টার্ন অর্থোডক্স ক্যাথিড্রালের রুপ পালন করে এবং ১৪৫৩ থেকে ১৯৩১ সাল অবধি ওটাম্যান ইমপেরিয়াল মস্কের রুপ পালন করে। ১৯৩৫ সালে এটিকে মিউজিয়ামে পরিবর্তন করে দেয় তুরোস্ক প্রশাসন। বাইজেন্টাইন সাম্রাজের শিল্পর অসাধারণ নিদর্শন হল হাজিয়া সোফিয়ার মাথার গম্বুজ।
লিনিং টাওয়ার অফ পিসা, ইতালী
ইতালির শহর পিসার রোমান ক্যাথলিক অন্তর্ভুক্ত বেল টাওয়ার টির ভিতের একপাশের মাটি দুর্বল থাকার দরুণ নির্মাণের শুরু থেকেই এটি হেলতে থাকে। মাটি শক্ত করার সব প্রচেষ্টা বিফল করে আরো হেলে পরে এটি। এই টাওয়ারের নির্মাতার সঠিক পরিচয় না জানা গেলেও আজও এটি দেখতে বিভিন্ন দেশের মানুষরা ভিড় জমান।
তাজ মহল, ভারত
মুঘোল সাম্রাজ্যের পঞ্চম সম্রাট শাহজাহান তার তৃতীয় স্ত্রী মুমতাজের প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ভারতের আগ্রায় এই সমাধিস্থলটি নির্মাণ করেন। ১৭১ মিটারের এই স্থাপত্যটির নির্মাণ ১৬৩২ সালে শুরু করা হয় এবং শেষ করা হয় ১৬৫৩ সালে। কথিত আছে শাহজাহান তার কারিগরদের ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে নেন যাতে এই স্থাপত্যের আদলে দ্বিতীয় কোনো স্থাপত্য তারা তৈরী করতে না পারে। মুঘল শিল্পীদের হাতের কাজের এক অনবদ্য সৃষ্টি এই তাজমহল।