৭ সেপ্টেম্বর ইসরোর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে বসে চন্দ্রযান-টু চাঁদের মাটিতে অবতরন দেখার সুযোগ পেল বর্ধমানের মেয়ে ইউসরা আলম।
১৪ বছরের ইউসরা আলম বর্ধমানের গলসির বেলগ্রামের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ চর্চায় উৎসাহ। স্কুলের পড়াশোনার ফাঁকে-ফাঁকে ইন্টারনেটে মহাকাশ নিয়ে চর্চাও করে সে। পছন্দের বিষয় পদার্থ বিদ্যা আর অঙ্ক।
চন্দ্রযান নিয়ে গোটা দেশের স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘ স্পেস-কুইজ’ নামে একটি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ইসরো। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এই কুইজে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষা দফতরের সহায়তায়। স্কুল থেকেই সে এমন একটি কুইজের কথা জানতে পারে। সে অংশগ্রহণও করে। অনলাইন কুইজে ১০ মিনিটে ২০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল। ইসরোর কুইজে অংশগ্রহণের বিষয়ে বাড়িতে বিশেষ কিছু জানায়নি।
পরে ইসরো থেকে ইমেল আসে। ইউসরা জানতে পারে প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে ইসরো-কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি ছোঁয়া দেখার দুর্লভ সুযোগ পেয়েছে সে।
প্রায় অবিশ্বাস্য লেগেছিল তার গোটা ব্যাপারটা। কুইজের ফলাফল জানতে পারার পরই সে বাড়িতে জানায়। অভিভাবকের সঙ্গে শুক্রবার বেলা ২টোর মধ্যে ইসরো কেন্দ্রে যেতে হবে তাকে।যাতায়াত, থাকা-খাওয়া খরচ ‘ইসরো’ বহন করবে। ইসরোর ডিরেক্টর সুরেশ এম আর- চিঠিও পেয়েছে সে।
পশ্চিম বঙ্গ থেকে দুজন এই সুযোগ পেয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী এই সুযোগ পেয়েছে।
ইউসরার দুই দিদি। তার এক দিদি শবনম আলম মেডিকেল ছাত্রী। আর একজন ইউসরার স্কুলেই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ইউসরার এই সাফল্যে তার পরিবারও উচ্ছ্বসিত।