২০২৪ সালের মধ্যেই রাজ্যের বেশিরভাগ গ্রামের রাস্তাকে মূল সড়ক বা জাতীয় সড়কের সঙ্গে জুড়তে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে| প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ৬ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| এই প্রকল্পের দুটি পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে| তৃতীয় পর্যায়ের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যবে বলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে| আগের দুটি পর্যায়ে প্রধানত গ্রামগুলির কাঁচাসড়কগুলিকে পাকা করে প্রধান সড়কগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল | শেষ পর্যায়ের কাজে গ্রামের কৃষিক্ষেত্র, বাজার ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার সঙ্গে জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিকে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার তৃতীয় পর্যায়ের এই কাজ সম্পন্ন হলে দেশের অধিকাংশ গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক বিপ্লব ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা|
কেন্দ্রীয় গ্রামউন্নয়ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গ্রামসড়ক যোজনায় দেশজুড়ে আগামী চার বছরে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্র ধার্য করা হয়েছে| সেই হিসেবে বরাদ্দ বেড়েছে বাংলায়| মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড সহ একাধিক রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বাংলা|কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, দেশজুড়ে গ্রামীন সড়ক ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে ৮০ হাজার ২৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার মোট ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেবে| বাকি টাকা খরচ করবে নিজ নিজ রাজ্য|
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প অনুদান থেকে যে বাংলা বঞ্চিত হচ্ছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন দিল্লির আমলারাও| গত এক দশকে বাংলায় স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রটি অনেকটাই উপেক্ষিত হয়েছে। যার জেরে প্রতি বছর সরকারি তহবিল থেকে টাকা খরচ করলেও সার্বিক উন্নয়নের চিত্র মোটেও আশাব্যঞ্জক নয় বলে মনে করছেন অনেকেই|প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় বাংলার ভাগ্যে জোটা ৬ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা রাজ্যের জন্য বরাদ্দ হওয়ায় সেই বদনাম খানিকটা হলেই ঘুচেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল|