এটিএম প্রতারণা যেন এক বিভীষিকা হয়ে উঠেছে এখন । পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী গত বছরের থেকে এই বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে এটিএম প্রতারণার সংখ্যা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩৩টি এটিএম প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। কেবলমাত্র দিল্লিতেই এর সংখ্যা ছিল ১৭৯। গত অর্থবর্ষে মোট ৯১১টি এ ধরনের প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল পুলিশে। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮০টি। অনেক ক্ষেত্রে এটিএম কার্ড না ব্যবহার করলেও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা রাতারাতি তুলে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক-সুরক্ষায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় এবার নতুন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
১. একবার টাকা তুললে অপেক্ষা করতে হবে ৬-১২ ঘন্টা। কম সময়ের ব্যবধানে পরপর দুবার টাকা তোলা যাবে না।
২. ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে যেমন অনলাইনে লেনদেন হয় তেমনই ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড পদ্ধতি থাকবে এটিএম-এও।
৩. এটিএম এর কিয়স্কোগুলিতে নজরদারির জন্য সেন্ট্রালাইজড মনিটরিং সিস্টেম চালু করার কথা ভাবছেন ব্যাঙ্ককর্তারা। ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্কের ৩০০টি এটিএমে হেলমেট পরে টাকা তুলতে ঢুকলে গ্রাহককে তা খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়, আর তা-ও যন্ত্রের মাধ্যমে। এখানে কমিউনিকেশন চলে দু তরফ থেকেই। এরকমই কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে ব্যাঙ্ক।
ডিপার্টমেন্ট অব ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস জানিয়েছে গত সপ্তাহে দেশের আঠারোটি ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি) এই ধরনের প্রস্তাব করেছেন। বেশিরভাগ এটিএম প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে রাতের দিকেই। অপরাধের হাত থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করে একটা সুষ্ঠ পরিষেবা দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দেশের ব্যাঙ্কগুলো।