বর্তমানে ওড়িশার নয়াগড় জেলার যেখানে পদ্মাবতী গ্রাম, প্রায় ৫০০ বছর আগে এই গ্রাম ও তার সংলগ্ন ৬টি গ্রাম নিয়ে মহানদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলটির নাম ছিল সাতপাটন। সাতটি গ্রামের একটি পদ্মাবতী গ্রাম। যদিও এখনো পদ্মাবতী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যায় মহানদী। কিন্তু উনিশ শতকে মহানদী গতিপথ বদল করলে পদ্মাবতী গ্রাম ছাড়া বাকি ৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে যায়। কিন্তু আজ এই সব নিয়ে আলোচনার কারণ কি?
কারণ হলো, নদীর ভেতর থেকে হঠাৎ জনসমক্ষে উঠে এসেছে এমন নিদর্শন, যা প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। কি সেই নিদর্শন? আজ সেই নিয়েই কথা হোক।
নদীর জল একটু নামলে মাঝে মাঝে দেখা যায় একটা বাড়ির মতো অংশ। কিন্তু সেটা কী? প্রত্নতাত্বিকরা অনুসন্ধান করে দেখেন অন্তত ৫০০ বছরের পুরনো একটি মন্দিরের চূড়া এটি। এই মন্দিরটি আসলে গোপীনাথ দেবের। মহানদী গতিপথ বদল করলে প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, আরো অন্তত ২২টি মন্দির জলের তলায় চলে গিয়েছিল। আর এই মন্দিরটি সবচেয়ে উঁচু হওয়ায় তার দেখা মেলে সহজেই। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক)- এর প্রোজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট দীপক কুমার নায়েক ও স্থানীয় এক ব্যক্তি রবীন্দ্র কুমার রানার অবদান অনস্বীকার্য। মূলত তাদের জন্যই প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি বিশেষ দল পদ্মাবতী গ্রামের পাশে মহানদীর ওই বিশেষ অঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। তার ফলেই সামনে আসে ওই মন্দিরের ইতিহাস; তবে খণ্ডচিত্র বলা চলে। কারণ পদ্মাবতী গ্রামে তো বটেই, মহানদীর গতিপথ বরাবর আরও ৯টি জেলায় গবেষণা চালানো হবে। এখন অপেক্ষা নতুন ইতিহাসের।