‘নারী’ নামটার সাথে যেমন আসে শ্রদ্ধা ও সম্মান তেমনি আসে কিছু সামাজিক ‘নিষেধাজ্ঞা’| সভ্যতার আদি থেকেই মহিলাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলনামূলক বেশি দেখা যেত| কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সাথে এইগুলি সংশোধনের প্রয়োজন বলে মনে করে আমাদের উন্নত সমাজ| বর্তমানকালে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অনেক সংশোধিত হয়েছে এবং সংখ্যায় কমেছে| এইগুলি হলো:
প্রথমত, “মেয়েরা তাঁদের বয়স বলবে না” এই নিষেধাজ্ঞাটি আদিম কাল থেকে সমাজ ও মেয়েরা মেনে আসছে কিন্তু বর্তমানকালে একটা মেয়ে নির্দ্বিধায় নিজের বয়েস জন প্রকাশ্যে বলতে রাজি|
দ্বিতীয়ত, “একটা সম্পর্কে মেয়েরা প্রথম প্রেম নিবেদন করতে পারে না” এই নিষেধাজ্ঞাটি এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত বাহ্যিকভাবে|
তৃতীয়ত, “লিভটুগেদার বা বিয়ে ছাড়াই সহবাস করা যাবে না, এটি কলঙ্কিত!” এই নিষেধাজ্ঞাটি তো আইনও বাতিল করেছে| সম্প্রতি বছরেই সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ সহবাস করতে পারে|
চতুর্থত, “বিয়ের পর একটা মেয়েকে তাঁর পদবি বদলে নিজের স্বামীর পদবি গ্রহণ করতেই হবে” এই নিষেধাজ্ঞাও আইন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করেছে, এখন একটি মেয়ে বিয়ের পর তাঁর পদবি বদলাবে কিনা তা সম্পূর্ণই মেয়েটির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত|
পঞ্চমত, “মহিলারা প্যান্ট বা জিন্স পড়তে পারে না” এই নিষেধাজ্ঞাটি আগে সমস্ত মেয়েরা মানত এবং খেয়াল রাখত | কিন্তু এখন মেয়েরা বুঝে গেছে যে, সে কি পোশাক পরবে তা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত|