ট্রেনের ভাড়া ফেরত পাওয়ার ৪টি অজানা নিয়ম

আপনি ভারতীয় এবং ট্রেনে যাতায়াত করেন, কিন্তু ভারতীয় রেলের কিছু নিয়ম জানেন না অনেকেই| আপনারা দেরী করলে ট্রেন মিস আর ট্রেন লেট করলে? তখন কি!

সুত্র থেকে জানা যায় চারটি কারণ, যে ক্ষেত্রে আপনি ভাড়ার টাকা রেলের থেকে ফেরত পেতে পারেন—

১। ধরা যাক হাওড়া স্টেশন থেকে একটি দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল ৯টায় কিন্তু কোনও কারণে ট্রেন ছাড়ছে ১২টার সময়ে। সেক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছা করলে ট্রেনে না উঠতেই পারেন। আর এইক্ষেত্রে রেল সম্পূর্ণ ভাড়া ফেরত দেবে আপনাকে। তবে আপনাকে সে জন্য রেল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে টিকিট কাটলেও রিফান্ডের জন্য আবেদন করতেই পারেন। নিয়মটা হল— ট্রেন নির্দিষ্ট স্টেশনে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ৩ ঘণ্টা বা তার বেশি দেরী করলে ট্রেনের ভাড়া ফেরত পাওয়া যায়।

২। ট্রেনের যাত্রা যদি কোনও কারণে বাতিল হয় সেক্ষেত্রেও একই ভাবে ভাড়ার টাকা ফেরত পাওয়া যায় আবেদন করলে।

৩। ট্রেন যদি কোনো কারণে রুট বদল করে সেক্ষেত্রেও যাত্রী ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করেন ভাড়া ফেরত পেতে পারেন। ধরা যাক, হাওড়া স্টেশন থেকে মুম্বই মেল ভায়া এলাহাবাদের টিকিট কেটেছেন কোনও যাত্রী। আচমকাই রেল জানিয়ে দিল ট্রেনটি ওই রুটের বদলে ভায়া নাগপুর যাবে। সেক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা ফেরত দেয় রেল।

৪। রেল যদি কোনও শ্রেণির টিকিট কনফার্ম না হলে নিম্ন শ্রেণির কোচে টিকিট কনফার্ম করে দেয়। তবে যাত্রী যদি নিম্ন শ্রেণির কোচে না উঠতে চান, তাহলে তিনি ভাড়ার টাকা ফেরত পাবেন। আর যাত্রী যদি নিম্ন শ্রেণির কোচে যাত্রা করেন সেক্ষেত্রেও উচ্চ শ্রেণির জন্য দেওয়া বাড়তি টাকা ফেরত পাবেন|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...