বাড়ির পাশেই চলছে বোমা বর্ষণ। যে কোনও মুহুর্তে ঘনিয়ে আসতে পারে মৃত্যু। তবু মুখের হাসি হারাতে নেই। ভয় পেতে নেই। আর এভাবেই পাওয়া যায় বেঁচে থাকার স্বাদ।
প্রতিবার বোমের শব্দে হেসে উঠবে মেয়ে। ভয় নয়। কান্না নয়। আতঙ্ক নয়। মেয়ের মেখে কেবল হাসি দেখতে চেয়েছিলেন যুদ্ধ বিক্ষত সিরিয়ার েক বাবা। বিস্ফোরণ যেন এক দারুণ মজা! তার শব্দে হেসে উঠতে হয় প্রতিবার। এমন শিখিয়েছিলেন বছর তিনের এক রত্তি মেয়েকে তিনি। তাদের হেসে ওঠার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করে এক সাংবাদিক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর ভাইরাল হয় ছোট্ট মেয়ে সালওয়া আর তার বাবা আবদুল্লাহ মোহাম্মদের হাসির ক্লাস।
স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা দুনিয়া।
সেই ভিডিয়োর দৌলতেই যুদ্ধ ভূমি ছাড়ার সুযোগ পেল বাবা-মেয়ে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিরিয়া থেকে তুরস্ক পাড়ি দিয়েছে সালওয়া আর তার পরিবার।
সালওয়াদের বাড়িটি ছিল সিরিয়ার ইদলিবের কাছাকাছি। আর ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের সবশেষ শক্ত ঘাঁটি।
বোমার শব্দে সালওয়ার হেসে ওঠার ভিডিয়োটি গত মাসে ভাইরাল হয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনামেও আসে এই শিশু। এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তুর্কি সরকার। অভিভাবকের সঙ্গে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে যায় সালওয়া।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, সালওয়া ও তার পরিবার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। তাদের তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের রেয়হালনি শরণার্থীশিবিরে নেওয়া হয়েছে।
সালওয়ার বাবা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তুরস্কের গণমাধ্যমে বলেছেন, তুরস্কে পৌঁছাতে পেরে তিনি আনন্দিত। এখন সালওয়া স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। তিনি সিরিয়া যুদ্ধ শেষ হলে আবার দেশে ফেরার আশা প্রকাশ করেন।