পুলিৎজার পেলেন তিন কাশ্মীরি সাংবাদিক

একটানা কারফিউ। ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ। মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই। লাঠি-গুলি-ক্ষোভ- অসন্তোষে অবরুদ্ধ উপত্যকা। প্রতিটা মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপন্ন কাশ্মীরকে ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন ওঁরা। সেই ছবিই এনে দিল আন্তর্জাতিক সাফল্য।

কাশ্মিরে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির ওপর কভার করে ২০১৯ এর পুলিৎজার সম্মান পেলেন মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির তিন সাংবাদিক। সাংবাদিকতার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পেলেন ফটোজার্নালিস্ট দার ইয়াসিন, মুখতার খান এবং চেন্নাই আনন্দ। ফিচার ফটোগ্রাফি শাখায় পুরস্কার জিতেছেন তাঁরা। করোনার জন্য এবছর পুলিৎজার পুরস্কার ঘোষণা  করা হয় অনলাইনে। প্রতিবছর নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুলিৎজার ঘোষণা করা হয়। এবছর বিশ্ব জোড়া অতিমারীর কারণে বন্ধ সেই অনুষ্ঠান।

ঘোষণার পর দার ইয়াসিন জানিয়েছেন, দার ইয়াসিন বলেন, ‘সব সময়ই এটা ছিলো ইদুর-বিড়ালের খেলা। তবে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি পড়েনি।' দ্বিতীয় বারের জন্য পুলিৎজার পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলসন হোয়াইটহেড। ‘দ্য নিকেল বয়েস’ উপন্যাসের জন্য। ফ্লোরিডার কিশোর সংশোধন বিদ্যালয়ে কৃষ্ণাঙ্গ বালকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে লেখা হয় উপন্যাসটি। ৫০ বছর বয়সী হোয়াইটহেড এর আগে ২০১৭ সালে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড’ উপন্যাসের জন্য একই বিভাগে পুলিৎজার পান। পুলিৎজারের ইতিহাসে হোয়াইটহেড হলেন চতুর্থ লেখক, যিনি ফিকশনে দুইবার এ পুরস্কার পেলেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...