২২৩-এর পল্লী | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

জলের অপর নাম জীবন। কিন্তু কি হবে যদি আমাদের এই বসুন্ধরায় জলই না থাকে! শুরু হবে হাহাকার, মানুষ তথা জীবকূলের অস্তিত্ব থাকবে সংকটে। যার নমুনা আমরা কয়েক মাস আগেই দেখতে পেয়েছি তামিলনাড়ুতে। আর আজকের দিনে, যেখানে জনসংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান, সেখানে জলসংকটের সম্ভাবনাও প্রবল হয়ে দেখা দিতে পারে। আর তাই জল বাঁচানোর অঙ্গীকার আমাদের সকলকেই নিতে হবে। আর সেই উদ্যোগকে মাথায় রেখে এবছরের দূর্গাপুজোর থিম সাজিয়েছে ২২৩-এর পল্লীজলসংকট তার প্রতিকার নিয়ে এবছর তারা নিজেদের মন্ডপকে সাজিয়ে তুলবে।

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় নিজেদের পুজো সম্বন্ধে বললেন জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত থাকা ২২৩-এর পল্লী ক্লাবের সদস্যরা। সঞ্চালক মৌমিতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন দুই কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুপ্রমিত সাহারাজ মান্না। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, থিম মেকার শুভ্র চক্রবর্তী

৪৬তম বর্ষে পা দেওয়া এই ২২৩-এর পল্লী ক্লাব কিন্তু শুরু থেকেই থিম পুজোয় আসেনি। প্রাথমিক ভাবে সম্পূর্ণ সাবেকিয়ানায় দুর্গাপুজো করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা চলে আসে আধুনিকতার মোড়ে, অর্থাৎ থিম পুজোয়। আর এই বছর তারা তাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন করবে দ্বিতীয়ায়। ঐদিন বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করে মা দুর্গার শুভ আগমণকে স্বাগত জানাবেন তারা। এছাড়াও ভোগ বিতরণী অনুষ্ঠান চলবে অষ্ঠমীনবমীতে। সর্বসাধারণের জন্য অষ্ঠমীতে লুচি-পায়েস ও নবমীতে পোলাও-আলুর দম, সবমিলিয়ে খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে একেবারে পরিপাটি আয়োজনে মুখিয়ে রয়েছে ২২৩-এর পল্লী। পাশাপাশি অন্যান্যবারের মত এবারেও বিসর্জনের দিন সিঁদুরখেলা ছাড়াও মহিলাদের জন্য বিশেষ ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করতে চলেছে এই ক্লাব।

এছাড়াও লম্বা ভিড়ে যাতে বয়স্ক মানুষশিশুদের  কষ্ট না হয়, তার জন্য বিশেষ লাইনের ব্যবস্থা করবে এই ক্লাব। এছাড়া পুজোর দিন ক্লাবের সদস্যরা দুঃস্থ মানুষ ও শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করবে। এককথায় বলা যায়, দুর্গাপুজোয় নয়া মেজাজে একেবারে নতুন স্ফুর্তিতে নামতে চলেছে ২২৩-এর পল্লী।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে যাবেন ২২৩-এর পল্লী এর দুর্গাপুজো দেখতে। শিয়ালদাগামী কোনও দক্ষিণ শাখার ট্রেনে উঠে নামতে হবে স্যার গুরুদাস ব্যানার্জী হল্ট স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই আপনি পৌছে যাবেন ২২৩-এর পল্লী ক্লাবে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...