এবছর তারাপীঠ মায়ের মন্দিরের ২০০ বছর পূর্তি হবে| তাই সেখানে কিন্তু হচ্ছে এলাহী আয়োজন| পয়লা বৈশাখের দিন আপনি চোলে যেতেই পারেন তারাপিথে| মায়ের পুজো দেওয়াও হবে আবার ২ বার ভোগ খাওয়াও হয়ে যাবে| হ্যাঁ, ঠিকই বলছি, রবিবার পয়লা বৈশাখের দিন সকালে অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ায় মাকে দুবার ভোগ নিবেদন করা হবে| মন্দিরের প্রবীন সেবাইত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, যদিও রাজা রামজীবন চৌধুরী তারামায়ের মন্দির নির্মান শুরু করেছিলেন, কিন্তু তাঁর দেহ রাখার পর ১৭০১ খ্রীঃ তাঁর ছেলে রামচন্দ্র মন্দির সম্পুর্ন করে মহাশ্মশান থেকে মায়ের ব্রহ্মময়ী শিলামূর্তি নবনির্মিত মন্দিরে স্থাপন করেন| বহু বছর পর ১২২৫ বঙ্গাব্দে ভগ্নপ্রায় সেই মন্দিরের জায়গায় মল্লার্পুরের জমিদার জগন্নাথ রায় বর্তমান মন্দির নির্মান করেন| পয়লা বৈশাখে সেই মন্দিরের ২০০ বছর পূর্ণ হবে|
বছরের প্রথম দিনে মা তারার পুজো দিয়ে বছর শুরু করতে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে ভক্তদের ঢল নামে তারাপিঠে| মূলত ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা হালখাতার জন্য নতুন খাতা মায়ের চরণে স্পর্শ করিয়ে পুজো দিতে ভিড় জমান| এবার পয়লা বৈশাখ রবিবার হওয়ায় ছুটির দিন| অন্যদিকে ওইদিন ভরে মায়ের স্নানের পর রাজবেশে সাজিয়ে পুজো ও মঙ্গলারতি করা হবে| সকাল ৫.৩০ তে ভক্তদের জন্য গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে| মাকে দুবার ভোগ নিবেদন করা হবে| আতপ চালের অন্ন, পোলাও, পঞ্চব্যঞ্জন, মাছ, বলির মাংস, মিষ্টি, ফল ও কারণ দিয়ে মায়ের মধ্যাহ্ন ভোগ নিবেদন করা হবে| সন্ধ্যারতি ও মায়ের পুজোর পর রাতে খিচুড়িভোগ নিবেদন করা হবে| মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পয়লা বৈশাখের দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মায়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে|