‘গ্যাঙোর গ্যাঙ ডাকে...বর্ষা এসেছে, তারা জানিয়ে দিল সবাইকে।‘ হ্যাঁ বৃষ্টি এলে তারা জানান দেয় তাদের ডাকের মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল, বৃষ্টি ঘটানোর জন্য ব্যাঙের বিয়ে! শুধু বাংলা নয়, গোটা উপমহাদেশেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে এ প্রথা।
গত জুলাইয়ে অর্থাৎ প্রায় মাস দুয়েক আগে ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালে অনাবৃষ্টির কারণে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে এক জোড়া ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছিলেন সেখানকার মানুষেরা। বিশ্বাস ছিল, এতে বরুন দেব খুশি হয়ে বৃষ্টি দেবেন।
ব্যাঙের বিয়ের কারণে হোক বা না হোক, এর কিছুদিন পর সত্যি সত্যিই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল রাজ্যটিতে। ভক্তরা তো মহাখুশি! তখন কে জানতো, দু’দিন পর এই বৃষ্টিই কাল হয়ে দাঁড়াবে!
সেই থেকে টানা বৃষ্টিতে রীতিমতো বন্যা শুরু হয়ে যায় মধ্য প্রদেশসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতে। ফলে হিতে হয় বিপরীত! উপকারের বদলে উল্টো তাণ্ডব শুরু করে অনেক সাধনার বৃষ্টি! আর, তার দোষ গিয়ে পড়ে বিবাহিত সেই ব্যাঙ দম্পতির ওপর! ফলাফল, বিবাহ-বিচ্ছেদ।
জানা যাচ্ছে, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোপালের ইন্দ্রপুরি এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ব্যাঙ দু’টির বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়েছে ওম শিব সেবা শক্তি মণ্ডল নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনটির সদস্যরা বলেন, আমাদের প্রার্থনা (ব্যাঙের বিয়ে) সত্যি হওয়ায় ভোপাল ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু, এখন সেটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ কারণে দেবতাকে খুশি করতে ওই ব্যাঙ দম্পতির বিবাহ-বিচ্ছেদ করানো হয়েছে। আশা করি, এতে ভয়ঙ্কর বর্ষণের সমাপ্তি ঘটবে।
প্রসঙ্গত, এবছর প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় মধ্য প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ, বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি। পরিস্থিতি অবনতির কারণে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।