অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির কাজ শুরু হল। করোনা সংক্রমণ রুখতে এ এক বড় সাফল্য বলা যায়।
ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে তারা আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ChAdOx1 nCoV-19 নামের প্রতিষেধকটি গত ২৩ এপ্রিল হিউম্যান ট্রায়াল হয়।
৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ChAdOx1 nCoV-19-এর কার্যকারিতা।
জুলাই মাসেই জানা যাবে অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল, তার পরেই উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এই প্রতিষেধকের অন্তত ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদন সম্ভব হবে।
চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়াল হবে ব্রাজিলে। এই পর্বের জন্য ১ হাজার জন ভলান্টিয়ারকে নির্বাচন করা হয়েছে। ব্রাজিল সরকারও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সম্মতি দিয়েছে।
বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহের লক্ষ্যে গ্লোবাল অ্যাকশন ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন্স (সেপি) ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে (এসআইআই) অ্যাস্ট্রা জেনিকার চুক্তি হয়েছে।
অন্যদিকে, বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যেই পেনসালিভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন গবেষণায় সাহায্য করেছেন।
বিল গেটস জানিয়েছেন, এশিয়া ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তারা। যাতে করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলে খুব দ্রুত ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনার প্রতিরোধের লড়াইটা সবার, তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।‘