পর্বতারোহন এবং ট্রেকিং-এর জন্য পর্বতারোহন ভিসা গ্রহণে আগ্রহী বিদেশিদের স্বার্থে চার রাজ্যের ১৩৭টি পর্বত শৃঙ্গের পথ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই পথ খুলে দেবার জন্য পর্যটন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধ অনুমোদন করার জন্য পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পটেল বলেন, দেশে দুঃসাহসিক পর্যটন প্রসারে সরকারের এই সিদ্ধান্ত এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
যে পর্বতশৃঙ্গগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও সিকিমের পর্বতশৃঙ্গ। সবথেকে বেশি অর্থাৎ ৫১টি পর্বতশৃঙ্গ রয়েছে উত্তরাখণ্ডে, ১৫টি জম্মু-কাশ্মীরে, ২৪টি সিকিমে এবং ৪৭টি হিমাচল প্রদেশে। এর মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা-দক্ষিণ শৃঙ্গ দুটিও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি ভারতীয় পর্বতারোহীরা। এছাড়া অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের কাছেও এর আগ্রহ মারাত্মকভাবে রয়েছে। ১৩৭টি শৃঙ্গের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ৫১টি, সিকিমের ২৪টি, কাশ্মীরের ১৫টি এবং হিমাচল প্রদেশের ৪৭টি শৃঙ্গ রয়েছে। তবে উপরিউক্ত এলাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে, ছবি তোলা বা ভিডিও তোলার ক্ষেত্রে এবং ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কড়া নিয়ম ধার্য করা হয়েছে। পর্বতারোহী বা অভিযাত্রীদের তা মেনে চলতে হবে। বুধবার দিল্লিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পর্যটন মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী দুঃসাহসিক পর্যটনে যাওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো আঁটোসাঁটো করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পর্যটন অপারেটরদের নথিভুক্তিকরণের সময় আরো সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পর্যটন মন্ত্রী রাজ্যগুলিকে দুঃসাহসিক পর্যটন নীতি নির্দেশিকা সঠিকভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় দুঃসাহসিক পর্যটন নীতি নির্দেশিকা, ২০১৮তে ভূমি, আকাশ, জেলাভিত্তিক বিভিন্ন অভিযান যেমন পর্বতারোহন, ট্রেকিং, প্যারা-গ্লাইডিং, কায়াকিং, স্কুবা ড্রাইভিং, রিভার র্যাফটিং এবং অন্যান্য অভিযানে যাওয়ার কথা উল্লেখ আছে।