বুদ্ধিদীপ্ত ইরানি মেয়ে

 

মাত্র ১১ বছর বয়স। এই বয়সে হয়তো পড়াশোনাটাই কেউ মন দিয়ে করে না। মারধর খেয়ে পড়তে বসতে হয় সকলকেই। কিন্তু এই ১১ বছর বয়সেই যে আইকিউ পরীক্ষায় ১৬২ স্কোর করা যায় তা কখনো ভেবে দেখেছেন?  ভাবার  আর দরকার নেই। কারণ ভাবার আগেই একটি মেয়ে এই নম্বর অর্জন করে ফেলেছে। ইরানের মেয়ে 'তারা'  ইতিমধ্যেই পেছনে ফেলে দিয়েছে পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইন এবং কসমোলোজিস্ট স্টিফেন হকিংকে। এতদিন এনাদের দুজনের নামই তালিকার একদম উপরে ছিল কিন্তু এক লহমায় সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো ১১ বছরের একটি মেয়ে।

'তারা শরীফি'  নামক একটি মেয়ে এই পরীক্ষায় ১৬২ নম্বর পেয়েছে, যা জিনিয়াস বেঞ্চমার্ক (১৪০) থেকে অনেকটাই উপরে। দক্ষিণ ইরানের বুশের প্রদেশের বরাজান কাউন্টি-র অধিবাসী তারা- র পরিবার। তারা জানায়, এই নম্বর পেয়ে সে নিজেই হতবাক। তারার বাবার বক্তব্য, তিনি তার মেয়ের কৃতিত্বে যথেষ্ট গর্ববোধ করছেন। তারা জানায়, এই টেস্টটি হলো একধরণের নন-ভারবাল টেস্ট। এই টেস্টটিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেই প্রশ্নগুলির উপরেই সে মনোনিবেশ করেছিল যাতে সেই শব্দগুলির অর্থ তার বুঝতে অসুবিধা না হয়।

আলসবেরি হাই স্কুলের ছাত্রী তারা, অক্সফোর্ডের মেনসা আইকিউ টেস্টে অনবদ্য রেজাল্টের পর জানিয়েছে, বড় হলে গণিত নিয়ে পড়তে চায় সে। এর সাথে সাথে ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়েই এগোনোর পরিকল্পনা আছে তার। এই রেজাল্টের সাথে সাথে তারা এখন মেনসার মেম্বারশিপ অর্জন করে ফেলেছে যা ‘হাই আইকিউ সোসাইটি’ বলেই অধিক পরিচিত।      

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...