বয়স যে কোনকিছুর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তার উদাহরণ আমাদের সামনে বারবার উঠে এসেছে| সম্প্রতি আবারও আমাদের সামনে এসেছে আরও একটি উদাহরণ| জানা গেছে, কেরালায় সম্প্রতি রাষ্ট্র সাক্ষরতা মিশনের পরিচালনায় চতুর্থ শ্রেনীর সমকক্ষ একটি পরীক্ষায় বসেছেন ১০৫ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা| জানা গেছে, পড়াশোনার স্বপ্ন দেখা ভাগীরথী আম্মা, মায়ের মৃত্যুর পর ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনা করার কারণে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন| এরপরে ৩০ বছর বয়সে স্বামীকে হারানোর পর ছয়টি সন্তানের দায়িত্ব তার ঘাড়ে এসে পড়ার ফলে আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে|
জানা গেছে, এই বৃদ্ধার বাড়ি কেরালা থেকে ৭০ কিলোমিটার দুরে কোলাম অঞ্চলে| কেরালা রাষ্ট্র সাক্ষরতা মিশনের পরিচালনায় যে পরীক্ষাটি হয়েছে তাতে ‘প্রবীণতম পরীক্ষার্থী’-র স্বীকৃতি অর্জন করেছেন এই বৃদ্ধা| এই মিশনের একজন রিসোর্স ব্যক্তি বসন্ত কুমার জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণে লেখায় বেশ সমস্যা হচ্ছে ভাগীরথীদেবীর| তিনটি প্রশ্নপত্র অর্থাৎ পরিবেশ, গণিত এবং মালায়লাম এই তিনটি প্রশ্নপত্র তিনদিনে শেষ করেছেন এই বৃদ্ধা| লেখায় তাকে সাহায্য করেছেন তার নিজের সর্বকনিষ্ঠ কন্যা|
জানা গেছে, বয়স অত্যন্ত বেশি হলেও তার চোখের কোনো সমস্যা দেখা যায়নি| এছাড়া পরীক্ষার সময়ে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ও দিয়েছেন সেই বৃদ্ধা|জানা গেছে, পরীক্ষাটি দিয়ে যারপরনাই খুশি ভাগীরথীদেবী|বসন্ত কুমার আরও জানিয়েছেন যে, এই পরীক্ষাটি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট উত্সাহিত ছিলেন ভাগীরথীদেবী| যেহেতু তিনি ৯ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাই এই পরীক্ষাটির প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তার| ভাগীরথীদেবীর একটাই খারাপ লাগা ছিল, যেহেতু তার কাছে কোনো আধার কার্ড ছিলনা তাই কোনধরণের পেনশন তিনি পাচ্ছিলেন না|তিনি আশা রেখেছেন এইবার নিশ্চয়ই সরকারের পক্ষ থেকে তার জন্য ভালো কিছু ভাবা হবে|