শতবর্ষ পেরিয়েও উজ্জ্বল “আররো ফিল্মস”

শুধু ভারতে কেন গোটা বিশ্বের ফিল্মের ইতিহাসেও এমন কোনো ফিল্মের কোম্পানি পাওয়া যাবেনা যেটা ১০০ বছর ধরে সচল এবং একই পরিবার নিয়ন্ত্রিত|আররো” সেদিক থেকে এক ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান, জানালেন সত্যজিত রায় এই বহু ফিল্মের সম্পাদক দুলাল দত্ত|

Ajit-basu

আররো ষ্টুডিওতে আররো ফিল্মসের ব্যানারে গত দেশে প্রায় সবকটি ভাষায় ছায়াছবি, ডকুমেন্টারী হয়েছে|অনাদিনাথবসু ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা|তার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র অজিত বসু আররোকে পৌঁছে দেন আলোকবৃত্তে|সম্প্রতি সেই অজিত বসুর শততম জন্মদিন পালিত হলো নন্দন প্রেক্ষাগৃহে|উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, নির্দেশক গৌতম ঘোষ এবং আররোর তৃতীয় প্রজন্ম অঞ্জন বসু; যার হাত ধরে সল্টলেকে আররোর আধুনিকতম নতুন ষ্টুডিওটি গড়ে উঠেছে|

অজিত বসুর সময়ে আররোয় বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি তৈরী হয় আররোয় প্রযোজনায়|১৯৫২ সালে পরিচালক ফনী বার্মার “প্রহ্লাদ”, “জয়দেব”, সুকুমার দাশগুপ্তর পরিচালনায় “ওরা থাকে ওধারে”, “সদানন্দের মেলা”, সুবোধ মিত্রের “রাইকমল” থেকে শুরু করে সত্যজিত রায় এর “জলসাঘর” তৈরী হয়| তারও আগে ১৯৫১ তে “অপরাজিত”, প্রেমেন্দ্র মিত্রের “চুপিচুপি আসে”, বিজয় বসুর “আরোগ্য নিকেতন”, “ভগিনী নিবেদিতা” তৈরী হয়| এই “ভগিনী নিবেদিতা” প্রসঙ্গত প্রথম বাংলা ছবি যা বিদেশের মাটিতে শ্যুট হয়| শেষ ছবি ছিল ১৯৭৩ তে অর্ধেন্দুমুখোপাধ্যায়ের|না, শুধু ফিল্ম নয় আররোর নাম লেখা থাকবে ডকুমেন্টারীর ইতিহাসেও|স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে হালফিল নানা ঘটনার সচিত্র সাক্ষী আররোর নিউজরিল| আররোর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী অঞ্জন বসুর হাত ধরে “আররো” আরো সময়ের সাথে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে ও উঠবে|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...