ইসরোর ‘যুবিকা’ প্রকল্পের প্রাথমিক তালিকায় গোটা দেশের ৩৫৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১০ জন এরাজ্যের । ইসরোর পক্ষ থেকে ২০২০ বর্ষের ‘যুবিকা’ বা ‘যুব বিজ্ঞানী কার্যক্রম’—এর জন্য যেসব পড়ুয়াদের বাছাই করা হয়েছে তাতে এরাজ্যের ১০ জন নাম রয়েছে বলে ইসরো সূত্রে খবর । রাজ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন হল, দুর্গাপুরের শাহিদ রহমান, পূর্ব মেদিনীপুরের রত্নদীপ সাহু, উত্তরবঙ্গের ব্যাঙডুবির অর্ণব সিনহা, বর্ধমানের গোলাপবাগের সুপ্রীতি ভট্টাচার্য,রায়গঞ্জের অনিন্দ্য সাহা, বালুরঘাটের মিহিতা দেবনাথ, জলপাইগুড়ির সুভানন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকদ্বীপের অরিজিৎ সিং, হ্যামিলটনগঞ্জের শ্রেয়া সিং এবং বাঁকুড়ার সাত্যকি মোহান্তি। তবে কলকাতা থেকে কেউই নির্বাচিত হয়নি। অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সহ ছাড়াও আরো কতগুলি বিষযে মাপকাঠিতে এই ৩৬৮ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে ৩৬৮ জনকে বাছাই করা হলেও এর থেকেও বাছাই পর্ব চলবে । চূড়ান্ত পর্বে প্রতিটি রাজ্য থেকে ১০ জনের মধ্যে ৩ জনকে বেছে নেওয়া হবে । ’রাজ্যা থেকে নির্বাচিত হওয়া বর্ধমানের ইস্ট-ওয়েস্ট মডেল স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুপ্রীতি ভট্টাচার্য জানিয়েছে, নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় সে ইসরোর এই প্রকল্পে আবেদন করেছিল। প্রাথমিক পর্বে বাছাই হওয়ার পর তার আশা চূড়ান্ত তালিকায় সে নির্বাচিত হয়ে, ইসরোয় গিয়ে আরও অনেক কিছু শিখতে পারবে। সুপ্রীতি জানিয়েছে ভবিষ্যতে রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা রয়েছে।
যুবিকা প্রকল্প নিয়ে ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী পড়ুয়াদের বিজ্ঞান তথা মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ গড়ে তোলার জন্য এই প্রকল্পটি ২০১৯ সালে নেওয়া হয়েছে । চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর পড়ুয়াদের ইসরোর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ঘুরিয়ে দেখানো হবে। সেখানে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পাশাপাশি কীভাবে গবেষণার কাজ চলছে তার খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে ছাত্রছাত্রীরা ।