রাজ্যজুড়ে রক্তসংগ্রহ করতে ১০টি ভ্রাম্যমান বাস পথে নামাবে রাজ্য

রাজ্যে ঘুরে ঘুরে রক্তসংগ্রহের কাজের জন্য এবার পথে নামবে ১০ টি ভ্রাম্যমান বাস| ২০১০ সাল থেকে কেন্দ্রের থেকে পাওয়া একটি বাস দিয়েই এতোদিন কাজ চলত স্বাস্থ্য দফতরের| ১০ বছর ধরে আর কোনো সাহায্য মেলেনি কেন্দ্রের তরফে|তাই আর কেন্দ্রের ভরসায় না থেকে ১০ বছর পর একসঙ্গে মোট ১০ টি বাসকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রক্তসংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সুত্রে খবর| ২০১০ সালে বাস অন্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকেও ১২ মিটার লম্বা একটি ভলভো বাস দেয় ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল সোসাইটি বা  ন্যাকো| আকারে বড় হওয়ায় সেই বাস নিয়ে রাজ্যের প্রতিটি অঞ্চলে নিয়ে রক্তদান শিবির যাওয়ায় অসুবিধার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্য দফতরকে| আধুনিক সমস্ত সুবিধাযুক্ত এই বাসের রক্ষনাবেক্ষনের খরচ নিয়েও সমস্যা দেখা দেওয়ার ফলে বাসটিকে দীর্ঘদিন ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছিল|

ন্যাকোর বাসের ত্রুটিগুলো মাথায় রেখে বাসগুলির গঠন ও বৈশিষ্ট্যতে বদল আনা হয়েছে নতুন বাসগুলিতে| নতুন বাসের দৈর্ঘ্য ১২ মিটারের বদলে সাড়ে ৭ মিটার রাখা হয়েছে| ন্যাকোর বাসে বায়ো-টয়লেট,  ফ্রিজ এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মত অত্যাধুনিক সুবিধা ছিল| রাজ্যের বাসগুলিতে এই বাহুল্য থাকছে না| ন্যাকোর বাসের তুলনায় আকারে ছোট হওয়ায় এই বাসে চারজনের বদলে তিনজন রক্ত দিতে পারবেন| স্বাস্থ্য ভবনের সুত্রে খবর এক-একটি বাসের জন্য খরচ পড়েছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসগুলিতে বিদ্যুৎ না থাকলেও রক্ত সংগ্রহের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে| বাসগুলিতে সংগৃহীত রক্ত দ্রুত সংরক্ষণ করার মত পরিকাঠামো রাখা হচ্ছে| ফলে সংগৃহীত রক্ত নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না |

নতুন বাস নামানোর মত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের পরিচালন সমিতির সদস্যরা| এর পাশাপাশি তাঁরা বাসগুলির সাহায্যে কত রক্ত সংগ্রহ করা হবে তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার পরামর্শ দিয়েছেন| এক সদস্যের কথায় রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আয়োজিত শিবিরের বিকল্প হতে পারে এই বাসগুলি।তবে তিনি আরো জানিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এ ধরনের বাসের ব্যবস্থা অনেক আগেই করতে চেয়েছিল| দেরি করে হলেও সেই প্রকল্প চালু হচ্ছে দেখে খুশি রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের পরিচালন সমিতির সদস্যরা |

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...