হিন্দুধর্মে দেবী অর্থাৎ দিব্য জননীর দশটি বিশেষ রূপের সমষ্টিগত নামই হল মহাবিদ্যা বা দশমহাবিদ্যা। দেবীর এই দশটি রুপে একদিকে যেমন রয়েছেন দেবীর ভয়ঙ্করী রুপ অন্যদিকে রয়েছেন এক অপরুপ সুন্দরী দেবীপ্রতীমা। কিন্তু কি এই দশমহাবিদ্যা বা দেবীর দশটি রুপ? সেই বিষয় জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে দক্ষ রাজের দেশে। পুরাণ মতে সতীর পিতা দক্ষ রাজা ত্রিলোক মাতানো এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। সবাই কে আমন্ত্রণ জানানলেও কণ্যা সতী ও জামাতা শিবকে আমন্ত্রণ জানায় না। কিন্তু বাড়ির মেয়ে তো, তাই বিনা নেমন্ত্রণেই তার পিতার বাড়ি যেতে চান তিনি কিন্তু শিব নাছোড়বান্দা। কিছুতেই যেতে দেবেন না সতীকে। তাই ক্রোধে আর অপমানে সতী বিভি্ন্ন রুপ ধারণ করে শিবকে ১০ দিক থেকে ঘিরে ধরে, যেই রুপ দেখে স্বয়ং শিব ভয় পেয়ে যায়। এই ১০টি রুপই হল মহাবিদ্যা।
১) কালী – সর্বসংহারকারিনী, জন্ম ও শক্তির দেবী।
২) তারা – পথপ্রদর্শক ও রক্ষাকারিনী দেবী।
৩) ত্রিপুর সুন্দরী – পুর্ণতা ও পুর্ণাঙ্গতার দেবী।
৪) ভুবনেশ্বরী – বিশ্বজননী।পার্থিব জগতের শক্তির প্রতীক।
৫) ভৈরবী – ভয়ঙ্করী দেবী। কামনা ও প্রলভনের স্বরুপ যা মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়।
৬) ছিন্নমস্তা - চক্রপথে আত্মধ্বংস ও আত্মপুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সৃষ্ট জগতের অবিরাম বিদ্যমানতার শক্তির প্রতীক।
৭) ধুমাবতী – বিধবা দেবী। চক্রপথে আত্মধ্বংস ও আত্মপুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সৃষ্ট জগতের অবিরাম বিরাজমানতার শক্তির প্রতীক।
৮) বগলামুখী – শত্রুনিষ্ক্রিয়কারিনী দেবী। মানব চরিত্রের ঈর্ষা ঘ্রিনা ও নিষ্ঠুরতার অন্ধকার দিক নিয়ত্রণ করে।
৯) মাতঙ্গী - কর্তৃত্ব শক্তির দেবী। জাতিহীন দেবী।
১০) কমলা কামিনী - বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী।