বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ কোটি অনুদান

বিশ্বভারতী মানেই রবীন্দ্রনাথ, আর রবীন্দ্রনাথ জড়িয়ে রয়েছেন এপার বাংলা তথা ওপর বাংলা দু-জায়গাতেই। আমাদের দেশ এবং বাংলাদেশ দু'দেশেরই  সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। কবি শিলাইদহে বসে প্রচুর বিখ্যাত রচনা লিখেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথ মানেই দুই বাংলার মিলনক্ষেত্র। এ হেন বিষয়ে বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই।

   বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ১০ কোটি টাকা দিলেন। গত বছরই এই ভবনটি উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীবাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ভবনটি তৈরী করা হয়েছে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার এবং শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের কাছে। এই ভবন নির্মাণের জন্য ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিল ২ বিঘা জমি। আর ওই জমিতেই ভবনটি নির্মাণ করার জন্য ২৫ কোটি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার। ভবনটি নির্মাণ হয়েছে বাংলাদেশের ভবনটির নকশা অনুযায়ী। এই ভবনে রয়েছে ৪৫০টি আসন বিশিষ্ট একটি মিলনায়তন। রয়েছে দুটি সেমিনার হল। এছাড়া আছে একটি গ্রন্থাগার, একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা ঘর, একটি ফ্যাকাল্টি কক্ষ  এবং একটি বড় মাপের কাফেটেরিয়া। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের অনেক খানি সময় এই বাংলাদেশে অতিবাহিত করেছিলেন। তাই সেই সব পুরোনো স্মৃতির কথা এবার উঠে এসেছে এই ভবনে। কবিগুরুর স্মৃতিবাহীত নানা সামগ্রী, স্মারক নিয়ে এবার জাদুঘরটি সেজে উঠেছে। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ও কবিগুরুর জীবনের নানা কথা। বিশেষ করে নানা স্মৃতিবাহিত ছবি, পাণ্ডুলিপি, স্মারক সহ নানা দ্রষ্টব্য রয়েছে এখানে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...