অনিন্দিতা সান্যাল
কেষ্টপুর, কলকাতা
আর মাত্র দুটো দিন....আর মাত্র একটা দিন...এভাবে বছরে দু’বার ভাবতে বসে যাই। অষ্টমীর রাত আর ডিসেম্বরের শেষ দুটো দিনে কেমন যেন ব্যালন্সশীট মেলানোর দায়ভার চেপে বসে নিজের অজান্তেই। পেরিয়ে আসা বছরটা গোল করে ঘুরে এসে দেখি কী পেলাম, কী হারালাম আর কী-ই বা দিতে পারলাম-এর অঙ্কগুলো মিলল তো ঠিকঠাক?
একুশের শাসন কিন্তু একটু অন্যরকম ছিল। অতিমারীর চোখ রাঙানো,স্বজন হারানোর পাশাপাশি স্বাভাবিক ছন্দে,পুরনো দ্বন্দে ফিরছে পৃথিবী। স্কুল,কলেজ খুলছে,পার্কে গজিয়ে ওঠা বড় ঘাসগুলো কমছে ছোট ছোট পায়ের চাপে। পাহাড়ী রাস্তায় কুয়াশার জট আস্তে আস্তে খুললে যেভাবে এগোয়ে গাড়ি......সেইভাবে নতুন বছরের দিকে এগোচ্ছে সভ্যতা। আশেপাশে থাকা মানুষজনের রুক্ষতা খানিক কমছে। মনে হয় অনেক নমনীয়, অনেকটাই সহনীয় তারা। প্রিয়জন হারানো মানুষের বেদনাময় চোখ সদ্যজাত সন্তানের অভিভাবকের চোখের সঙ্গে যেদিন মিলে যেতে দেখেছি হসপিটাল চত্ত্বরে মনে হয়েছে, বৃথা হিসেব মেলানো। সব ভারসাম্যই পূর্ব-নির্ধারিত।
একুশ শতকের একুশ নম্বর মাদারীর খেল আর মাত্র ক’ঘন্টার। নতুন বছর তো ২২শের ঘরে ,ভাবছি ভেসে যেন না যায় বছরটা.....একটু দেখে রেখো ঈশ্বর।