চম্পা রায়
সোনামুখী, বাঁকুড়া
শীতের জড়তায় একটু উষ্ণতার ছোঁয়াই তো বসন্ত। উত্তরে হিমেল হাওয়া দিক পরিবর্তন করে দক্ষিণ থেকে বয়ে নিয়ে আসে আমের মুকুল,কাঁঠাল মুকুল ,বাতাবি ফুলের গন্ধের মাদকতা।
আলপথের ধারে , মেঠো পথের ধারে আনাচকানাচে অনাদরে বেড়ে ওঠা ঘেঁটু ফুল তার রূপে যৌবনে পথিক তার গতি কমাতে বাধ্য হবেই।
দূর মাঠে মাঠে লাল টকটকে শিমুল ফুলের উপর সাদা বকের সারি, লাল মাটির উপর আগুনে পলাশ গাছের সাজ , মনে হয় এই তো জীবন, এই তো বেঁচে থাকার সার্থকতা।
গাছে গাছে হলুদ বসন্ত।কোকিলের অ্যালার্মে চাষীরা সজাগ হয়ে উঠে মাঠে ছোটে ধান রোয়ার কাজে।
গ্রামে গাজন উপলক্ষে মেয়েরা বাড়িতে আসে বাবা-মায়ের কাছে। বাড়ির অন্দরে থেকেই-থেকেই উঠে আসে হাসির রোল। শাল বন মহুয়া বন ছুঁয়ে পেরিয়ে যায় অসীমে।
হাওয়ার সাথে সাথে ঝরা পাতারা এক পা দু পা করে সরে যায়। ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন প্রাণের দূত। কচি সবুজ পাতারা ।
আমার কাছে বসন্ত সৃষ্টি সুখের গান। আমার কাছে বসন্ত প্রাণের কলরব। আমার কাছে বসন্ত কৈশোরের নতুন প্রেম...