সমন্বয় রায়, শিবপুর, হাওড়া
আমার শীতকাল শুরুই হয় আলসেমি দিয়ে। ছুটির দিনে চিলেকোঠার ঘরে যখন রোদ এসে পড়ে তখন সেখান থেকে সরতে ইচ্ছে করে না। পেপার, সিনেমা, জলখাবার সব ওই নিরিবিলি রোদটাকে সঙ্গী করেই। লেপের তলায় গুটি-শুটি।
শীত পড়তেই ছুটির দিনে ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে বাইকে করে কোথাও না কোথাও বেরিয়ে পড়ি। প্রথম প্রথম ঠাণ্ডায় হিহি করি ঠিকই, কিন্তু সেটারও একটা মজা আছে।
কুয়াশার ভিতর দিয়ে হু-হু করে গাড়ি ছোটে, ঠাণ্ডা হাওয়া মুখ ছুঁয়ে দেয়। সারা সপ্তাহের কাজের স্ট্রেসটা এক মুহুর্তে ভ্যানিশ! রাস্তার ধারে অচেনা দোকান বা ধাবা থেকে ব্রেকফাস্ট আর ফেরার পথে বাজার। গোটা শীতকালে জুড়ে এমন সব পরব চলে আমার।
এই সময়টা বাজার করে সুখ। গোটা বাজারের রঙটাই বদলে যায়। শীতের সবজি আছেই, আমায় টানে মাছের বাজার। মাছের বাজারে ঢুকলেই ঘোর লাগে! কোনদিকে তাকাব আর কোনটা বাদ দেব!
মৌরলা, কই, দিশি ভেটকি, কাদা চিংড়ি, ট্যাংরা আর সমুদ্রের মাছ! উফফ!
খেতে যত না ভালো লাগে, তার চেয়ে অনেক বেশি মজা বাজার করায়।
ডিসেম্বর আবার আমার কাছে রি-ইউনিয়ন মাস। মাস পড়লেই স্কুল, কলেজ, টিউশনের বন্ধুদের ফোন, হোয়াটস অ্যাপে ডাকাডাকি। জমজমাট সব পিকনিকের প্ল্যান। তবে বাড়ির ছাদে পিকনিকটা সবচেয়ে বেশি জমে। এসব চলে একেবারে শেষ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আর মাস্ট বেড়াতে যাওয়া। সমুদ্র, নদী, পাহাড় যেখানেই হোক শীতে একবার অন্তত বেরিয়ে পড়া চাই-ই-চাই...