মেঘা চক্রবর্তী, বারাসাত
ছোটবেলার কনকনে ঠাণ্ডাটা সেভাবে আর পড়ে না। কিন্তু তা বলে শীত পড়ে না এমনটা নয়। হাড় কাঁপানো ব্যাপারটা বাদ দিয়ে যেটা থাকে সেটাই ফিল করি।
মেইনস্ট্রিম কলকাতার চেয়ে আশেপাশের এলাকায় কিন্তু বেশ ভালোই ঠাণ্ডা পড়ে।
শীত আসছে আসছে ব্যাপারটা শুরু হলেই কেমন যেন একটা উৎসব-উৎসব ব্যাপার মনে হয়। স্কুল লাইফে উইন্টার ভ্যাকেশন হত। তার আগে ক্রিসমাস প্রোগ্রাম । ফেস্টিভ মুডটা সেখান থেকেই।
সারা বছর যে আলমারিটা বন্ধ থাকে, একেবারে হাত পড়ত না, দুর্গাপুজো-কালীপুজোর পর পরই সেখান থেকে লেপ-কম্বল, সোয়েটার, বেরিয়ে সোজা ছাদে চলে যেত। এখনও সেই ব্যাপারটা আছে। তবে শীতের নতুন ফ্যাশন কী হল, কোন ট্রেন্ড চলছে তাতেও চোখ থাকে। শপিং থেকেও সরিয়ে রাখতে পারি না নিজেকে। চারপাশে এতরকম উইন্টার সেল! সেসব কী আর একেবারে এড়ানো যায়!
শীতকাল আমার কাছে ফ্যাশনের মাস। ব্রাইট কালারগুলো ভীষণ টানে। সোয়েটার, জ্যাকেট থেকে শুরু করে সবেতেই রঙের ছড়াছড়ি।
ক্রিসমাস-নিউইয়ার সব কিছু মিলিয়েও আমাদের চারপাশটাও বেশ সেজে ওঠে, মানুষও বাদ থাকবে কেন!
শীতকাল মানে একটা নতুন শুরু। বছরটা শেষ হয়ে যায়। চলে যাওয়া বছরে যা যা করা হল না সেগুলো আবার নতুন করে আপডেট করি, পরের বছরের জন্য।
সব মিলিয়ে শীত একটা জমজমাট ব্যাপার। যতই কুয়াশা থাক সব সময় ভাইব্র্যান্ট!