এমনিতে খুব শান্ত কিন্তু রেগে গেলে পুরো বাড়ি মাথায়!

কঙ্কনা চক্রবর্তী, পার্কসার্কাস

 

মাকে ছাড়া একটা দিন! ভাবতেই পারি না!

মা ভাত মেখে না দিলে আমার গলা দিয়ে ভাত নামে না। মা আমার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে জড়িয়ে...  

মায়ের বিষয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই মনে হয়, উফঃ কী ভাল রান্না করে মা! এমনিতে খুব শান্ত প্রকৃতির কিন্তু রেগে গেলে পুরো বাড়ি মাথায় করে। ছোটবেলায় আগে আমি খেতে বসে মাকে খুব জ্বালাতাম,একদিন ‘আর খাবো না’ বলে উঠে পালিয়ে যাচ্ছি, মায়ের হাতের সামনে একটা জলের বোতল ছিল, আর একটু হলে ওটাই ছুঁড়ে মারত আমায়! খুব জোর বাঁচিয়ে দিয়েছিল ঠাকুমা...!

অবশ্য তারপর থেকে কোনওদিন আমার গায়ে হাত তোলেনি। বকা খেতাম প্রচুর, এখনও খাই। তবে এখন একটু বড়ো হয়েছি তাই আমি মাকে শাসন করি মাঝে মাঝে।

এবার আসি মায়ের খারাপ দিক গুলো নিয়ে। এককথা দশ বার বলা এটা আমার মায়ের খুব বাজে অভ্যেস। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরলে বলবে, “ যে বন্ধুর সঙ্গে যাচ্ছিস তার নম্বর তা দিয়ে যা”। দশ বার ফোন করে বলবে বাইরের খাবার খাবি না, কোথায় আছিস, কী করছিস, কখন ফিরবি প্রশ্নের পর প্রশ্ন...একেবারে সিবিআই জেরা! তখন মাথাটা গরম হয় যায়। ঘরে এসে চেঁচামিচি করি। আসলে এই কথাগুলো বলাতে আমরা খুবই বিরক্ত হয় যাই, কিন্তু মায়েরা সবসময় আমাদের নিয়েই চিন্তা করে, কোনও কোনও সময়ে হয়তো আমরা সেটা ভুলে যাই আর তখনি চিৎকার করে ফেলি।

আমি খুব ভালো চা বানাতে পারি ,মাঝে মাঝে মাকে চা বানিয়ে দিই। সব কিছু তো মা একা হাতে করে, আমি নয় ঐটুকুই করলাম। আমার মা সব সময় বাড়িতে থাকে না। বিকেলবেলায় বেরিয়ে যায় সেরে সেই রাতে। বাবা আর আমি থাকি। কোনওদিন যখন বাবাও থাকে না তখন অগত্যা একা থাকতে হয়। তখন খুব মায়ের কথা মনে পড়ে, মনে হয় কেউ যেন কানের সামনে বলছে, “পড়তে বস তাড়াতাড়ি, সব সময় ফোনের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে বসে থাকিস কেন, ফোনটা একদিন আমি ভেঙেই ফেলব দেখিস, এই মেয়েকে নিয়ে যে আমি কী করব!"

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...