বৃষ্টির কাদামাঠে আমরাই ব্রাজিল, আমরাই আর্জেন্টিনা

সমন্বয় রায়, হাওড়া

 

বৃষ্টি নিয়ে কোনও দিন ফেসবুকে একটা লাইনও লিখিনি।
জলের ফোঁটা, প্রথম বর্ষা, আকাশে জমাট মেঘের ছবি তোলার ইচ্ছেও করেনি কোনোদিন।
আমার ঝড় ভাল লাগে।


হঠাৎ করে চারপাশটা কেমন গম্ভীর হয়ে যায়। হাওয়া বন্ধ। ঝড়-ঝড় গন্ধটা জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লেই দৌড় দৌড়। ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে গুরুগুর…
বাড়ি থাকলে আমি আলসে মানুষ। ঝোড়ো গন্ধটা নাকে এলেই ঝটপট জানলা বন্ধ করতে হয়। তারপর সোজা ছাদে।

rain-foot-1


দূর থেকে দেখি সে আসছে। ঠান্ডা বাতাস আর ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি।
বর্ষার বৃষ্টিটা মাখতে ভালো লাগত ছোটবেলায়। ক্লাস রুমের পাশেই মাঠ। টিফিন ব্রেকে খেলতে গিয়ে ভিজে আসা। তারপর বাকি ক্লাসগুলো ঐভাবেই।
মাথার চুল এলোমেলো। ভিজে জামা শোকানো হত ক্লাসে, ফ্যানের হাওয়ায়। কিন্তু সে আর কতটুকু।

rain-foot-2
বর্ষার খিচুড়ি নিয়ে আমার টান নেই, বরং ঝিরঝির শুরু হল তো খিচুড়ি নিয়ে আহ্লাদ বেশ বিরক্ত লাগে।
আমার কাছে বর্ষা মানে ফুটবল। ফুটবল আর বৃষ্টি। উফঃ!


এক মাঠ কাদা। পা রাখতে না জানলে ভিজে কাদায় আছাড়। আর তার মধ্যে দল বেঁধে ফুটবল! বল মারতে গিয়ে হড়কে পড়ে হিহি-হো-হো। তার মধ্যে ঝেঁপে বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যেই মাঠ জুড়ে দৌড়।

rain-foot-3

ঘাসের তলা থেকে জল ছিটকে মুখে। ভেজা নতুন ঘাস-আর বৃষ্টির গন্ধে নাক ডুবিয়ে আমরাই ব্রাজিল আমরাই আর্জেন্টিনা। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সবাই এক মাঠে! এর নাম ফুটবল!

আনন্দে টগবগে হয়ে বাড়ি ফিরতাম। জ্বর-সর্দি কিচ্ছু হয়নি কোনোদিন!

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...