তৃষা সরকার, পার্কসার্কাস
আজ সরস্বতী পুজো। সত্যি বলতে স্কুল লাইফটা বেস্ট ছিল। তখন সবাই মিলে বাজার করা বা ঠাকুর আনতে যাওয়া আলাদাই মজা সে সব।
আমার সব থেকে বেশি মনে পড়ে ক্লাস টেনের সরস্বতী পুজো। সবাইকে আলাদা আলাদা কাজের দায়িত্ব দেওয়া হত স্কুলে। সে বছর আমার উপর ভার দেওয়া হইয়েছিল স্কুলে নিমন্ত্রণ করা, আর ঠাকুরের বেদি সাজানোর জিনিস কিনে আনার। আমি আমার বন্ধু সায়নী আর রিমা আরও তিন জন ছিল, আমরা একসঙ্গে নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়েছিলাম। যখন ছেলেদের স্কুলে যেতাম নিজেদের কেমন সেলিব্রেটি মনে হত সব কেমন উঁকি মারত । আমরাও সেটায় বেশ মজা পেতাম। আর মেয়েদের স্কুল যখন যেতাম তখন ‘পিএনপিসি’টা একটু বেশিই করতাম । স্কুল তো কখনই সোজা পথে ফিরতাম না ঘুরে ঘুরে ফুচকা বা আচার খেতে খেতে আসতাম । তারপর আসার পর বাকিদের হেল্প করতাম আসলে কিন্তু জ্বালাতাম ওদের। আর আমার কাছে সব থেকে বেস্ট মেমরি হছে সব কাজ সারার পর সবাই মিলে এক সঙ্গে বসে খিচুড়ি খাওয়া। উফঃ! যা বানাতো না! জাস্ট ফাটাফাটি!
পুজোর আগের দিন ঠাকুর আসত, আমরা সাজাতাম জায়গাটা। কিন্তু সে বছর যারা ঠাকুর আনতে গেছিলো আমাদের ইতিহাসের দিদিমণি আবার তাদের সরভাজা খাইয়ে ছিল। আমরা বাদ পড়েছিলাম সেটা থেকে।
সেই দিনগুলো বাড়ি আসতেও লেট হত। সবাই মিলে এক সঙ্গে বাড়ি আসতাম, যে বন্ধু দূরে থাকত তাকে আবার একটু এগিয়ে দিয়ে আসতাম। সরস্বতী পুজোর দিন ছোট থেকে বড় সবাই শাড়ি পরে। বাচ্চাগুলোকে কী কিউট লাগত!
বড়রা মানে আমরা আমাদের ‘বেস্ট লুক’ দিতাম যদিও খুব একটা সাজতাম না। হাজার হাজার সেলফি তার টিচারদের সঙ্গে সেলফি কোন ম্যামকে বেস্ট লাগছে এসব আলোচনা!
উফঃ দিনগুলো মনে পড়লে এখনও যেন মনে হয় আবার দিনটা ঠিক ওইভাবেই ফিরে আসুক। ওই ভাবেই সেলিব্রেট করি!
এখন লাইফে অনেক চাপ, কিন্তু সেই অত চাপের মধ্যেও এসব দিনগুলো খুব মিস করি। মিস করি সেই বন্ধুগুলোকে... তখনই দিন গুলো ভাল ছিল...