দেবার্ঘ্য দাস, বাগুইহাটি
বাতাসের খবরে যেন আবদার মিশে আছে। শীতল পরিবেশে মখমলে হালচাল।
তারপরেই সন্ধে নামার অজুহাতে বসন্তের উদয়! রামের পেগ কিংবা বিকেলের ট্রামে উষ্ণতার পারদ চড়ে কিনা জানা নেই; কিন্তু মনে হয় শহরের নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও কিছু জিয়া নস্টাল এখনও টিকে আছে।
বিকেলের রোদে নরম আলো ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে, নৌকো সফরে গঙ্গার জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে অনর্গল স্বপ্নের ব্লু-প্রিন্ট।
মাফলার জড়িয়ে ক্যাফের টেবিলে চোখ খুঁজে নিয়েছিল চুমুকের সাতকাহন। চন্দ্রবিন্দু কিংবা অ্যালান জ্যাকসন মৃদু সুরে ভেসে আসে, হেঁটে যাওয়া পার্ক স্ট্রিট বা দেশবন্ধু পার্ক!
কাটলেট পেরিয়ে আর কিছু কিছু গলি সাইকেল ক্যাকফোনি এড়িয়ে বসে জিড়িয়ে নেওয়া। টাইমলাইন এলে শীতের আমেজ আর বসন্তের উষ্ণতা ফিরে ফিরে আসে; কুলের গন্ধ চারিদিকে পাওয়া যায়, সদ্য বয়স বাড়তে থাকা পাঞ্জাবি পরা ছেলের দল আর শাড়ি পরা মেয়েদের একদিনের জন্য নিজেদেরকে চিনে নেওয়ার চেষ্টা। সরস্বতী পুজোর পৌরাণিক ভিত্তির যেন বাস্তবিক ফিউশন আমাদের সরস্বতী পুজো।
ছেলেবেলার সেই দুরন্ত দামাল দস্যি সত্ত্বাও একদিনের জন্য নিজেকে খুঁজে নিতে চায় অন্যের আয়নায়। ডানপিটে দুপুরের রং লেগে থাকে স্কুল কলেজের কোলাজে!
সময়ের সঙ্গে বয়সের পালেও আসে অভিজ্ঞতার পালক। ক্রমে যতই এগিয়ে যাওয়া উর্ধ্বমুখী বসন্তের পারদও ওঠা নামা করে সেইভাবে।
পুরনো যা কিছু টিকে যাবার চেষ্টা করে শহরটার মধ্যে - মানুষ কিংবা গন্ধ যাই হোক সেখানের চোরাগলিতে অবাধে এই হাওয়া আসা যাওয়া করে। সেই তো আমার বসন্ত...