সাদা জায়গা পেলেই ছবি এঁকে ফেলতাম।
বড় হয়ে শান্তিনিকেতনের কলাভবনে সুযোগ জুটে গেল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিকতার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল প্রেরণা, উৎসাহ আর সহযোগিতা। ফল হিসেবে শিল্পের প্রতি ভালোবাসাটা আরও তীব্র হল।
দেখতে দেখতে কলাভবনের সময় আমার ফুরিয়ে এল। পঁচাত্তরে পাশ করে চলে এলাম। তবে শিল্পচর্চার স্রোত থেকে দূরত্ব যেন ক্রমেই বাড়তে লাগল। একটা সময় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম।
মনের ভিতর কষ্টের একটা কাঁটা সারাক্ষণ খচখচ করে বিঁধত।
ছবি আঁকতে না পারার যন্ত্রণা। ছবির ভাবনার জন্য মনে একদম কোনও জায়গা না থাকার হতাশা।
বিখ্যাত শিল্পী সোমনাথ হোড় ছিলেন আমার শিক্ষক। তাঁকে চিঠি লিখতাম। একবার লিখেছিলাম, ‘কোনও ছবি আর হয় না’।
উনি লিখেছিলেন, ‘ যখন সংসারের দায়িত্ব কমে যাবে, তখন অনেক সময় পাবে ছবির জন্য’।
এখন জীবনের অন্তিমে এসে ছবি আমার সঙ্গী। অফুরন্ত সময় রেখেছি শুধু ছবির জন্য।