ছবি আঁকা, আর্ট কলেজ- ভাবনাটাই ছিল স্বপ্নের মতো। যা শুধু দেখা যায়, কিন্তু ছোঁয়া অসম্ভব এ ধরনের উচ্চবিত্ত অভিলাষ। রং-ছবির জন্য প্যাশন এতটাই তীব্র যে ‘লক্ষ্মীর ভাঁড়’ ভেঙে আঁকার স্কুলে ভর্তি হওয়ার জেদ কাজ করেছিল। বৃথা যায়নি সেই জেদ। স্থায়ীত্বের উপর বিচার করে প্রিয় মাধ্যম ‘টেম্পারা’। বাধা এসেছে প্রতি পদে পদে। ‘স্বশিক্ষিত’ শিল্পীর পথ সহজ নয়। ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বারবার। কিন্তু ছবির প্রতি ভালোবাসার কাছে ফিকে হয়ে গিয়েছ সব কিছু।
২০১৩ সালে একাদেমি অব ফাইন আর্টসে প্রথম প্রদর্শনী। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে '১৭তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল'-এ নির্বাচিত হয় ছবি। ৫৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। লোকশিল্প সংগ্রহ আরও এক প্যাশন। ক্যানভাসেও পড়েছে বাংলার লৌকিক-আধুনিক ধারার প্রভাব। অন্তরের সৃজনশক্তি, বুদ্ধি আর আবেগ মিলেমিশে শিল্পীর ছবির জগৎ রঙিন হয়ে উঠছে প্রতিদিন। সঙ্গী তাঁরই মতো ‘স্বশিক্ষিত’ অনুজরা।