ছবিই শান্তি। ছবিই আনন্দ। ছবি আশ্রয়। এছাড়া আর কিছু নেই।
অনেকটা যেন নিয়তির পথেই ছবির দুনিয়ায় আসা। ক্লাস এইটে স্কুলের আঁকার ক্লাস ছাড়া কোনওদিনও আঁকার ক্লাসে যাওয়া হয়নি। ছোট থেকেই ভীষণ টানত ছবি আর রং-তুলি। শুরু থেকেই স্বশিক্ষিত।
হঠাৎ এক ছবির প্রদর্শনী ঘুরিয়ে দিয়েছিল জীবনের মোড়। ১৯৮৬ থেকে শুরু হল ক্যানভাসে কাগজের জাদু। তবে একেবারে অন্যভাবে চেনা ছক ভেঙে ছবির ভুবনে অন্য মেঘের হাওয়া। ছেঁড়া কাগজের সঙ্গে মিশে যায় সাংঘাতিক নিষ্ঠা, ভালোবাসা আর ধৈর্য্য।
পুরনো কাগজের ব্যাপারিদের থেকে বাতিল ম্যাগাজিন বা কাগজ কিনে নেওয়ার পর কাগজকে প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে নিয়ে গড়ে ওঠে ছবির শরীর।
একফোঁটাও রঙ বা ইঙ্ক ব্যবহার হয় না ক্যানভাসে। জীবন ও মুহুর্ত উঠে আসে ক্যানভাসে। রিয়্যালিজম থেকে সাররিয়্যালিজম।
৩৩ বছর আগে শুরু হয়েছিল ছবি-সফর। তখনও জানা ছিল না গন্তব্য কোথায়। আনকোরা পথ।
সেদিনের একা পথ আজ আলোয় মাখা। সৃষ্টির আনন্দে ভুলে দিয়েছে পথের ক্লান্তি। কোলাজ এখন স্বীকৃতি পেয়েছে আলাদা মাধ্যম হিসেবে। আর্ট গ্যালারিতে মিলেছে স্বীকৃতিও।
২০০০ সালে প্রথম একক প্রদর্শনী। তারপর থেকে নিয়মিত। ২০০২ সালে লিমকা বুক অফ রের্কডস-এর স্বীকৃতি।
তবে শিল্পীর আশ্রয় শিল্প। সৃষ্টির সুখই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।