আম আমদের সকলের প্রিয় ফল|আম খেতে আমরা কে না ভালবাসি|কিন্তু আমের বাহারি নাম আর কতপ্রকারের আম হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা| |বাংলার মালদা ও মুর্শিদাবাদ আম ফলনের জন্য বিখ্যাত কিন্তু বাংলা ছাড়াও সারা ভরতে চিরাচরিত ধারার আমগুলি ছাড়াও রয়েছে আরও আমের সমাহার যেগুলি সারা ভারত জুড়ে চাষ হয়||আসুন জেনে নিই আমাদের পছন্দের আমগুলির না জানা ইতিহাস-
ল্যাংড়া আম:
এই আমের নামকরণ বেশ মজাদার|এই আম প্রধানত চাষ হত মোঘল আমলে দ্বারভাঙ্গায়|প্রথমে এই আমের সেইভাবে কদর না থাকলেও পরবর্তীকালে এক ফকির এটি যত্নের সাথে এই আমের চাষ শুরু করে বলে জানা যায়|তার পায়ে কিছু সমস্যা থাকে তিনি খানিক খুঁড়িয়ে চলতেন সেইথেকেই এই আমের নাম হয় ‘ল্যাংড়া’
ফজলি আম:
এই আমের ইত্তিহাসও বেশ মজাদার|
গৌরের এক বৃদ্ধা বাসিন্দা ছিলেন যার উঠানে একটি আমগাছ ছিল যাতে এই আম ফলত|সময়টা ছিল ১৮০০ সাল, তখন ব্রিটিশ শাসনের সময় এক কালেক্টর বৃদ্ধার ঘরের কাছে আশ্রয় নিলে বৃদ্ধা তাকে সেই আম দিয়ে অভ্যর্থনা সরেন, সেই আমের নাম ব্রিটিশ কালেক্টর জানতে চাইলে ইংরাজি বুঝতে না পেরে বৃদ্ধা তার নিজের নাম বলেন ‘ফজলি’ আর তার থেকেই এই নামের এরকম নামকরণ|
গোলাপখাস আম:
এটি প্রাচীন বাংলার একটি আম যার গন্ধ প্রায় গোলাপের মতো হওয়ার জন্য এই আমের এমন নামকরণ|এই আমের রংও খানিকটা গোলাপের মত|
গোপালভোগ আম:
এই আমের জন্ম ও বাংলায়|ইংরেজ বাজারে গোপাল নামের এক ব্যক্তি এই আমের চাষ শুরু করলে তার নাম হয় গোপালভোগ আম|
লক্ষনভোগ আম:
লক্ষণ নামে চাষীর নাম থেকে এই আমের নাম লক্ষনভোগ আম|ইংরেজবাজারে লক্ষন নামে এক চাষী একটি আম গাছ রোপন করলে আমের উৎপত্তি হয় লক্ষনভোগ|
আশ্বিনা আম:
আশ্বিনমাসে মূলত এই আম পাকে বলে একে আশ্বিনা আম বলা হয়ে থাকে|আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ও মাসেই মূলত এই আম পাওয়া যায়|
গুটি আম:
গুটি আমের বিশেষত্ব এই আম কাঁচা অবস্থায় খুব টক আর পাকলে অসাধারণ মিষ্টি হয়|মালদার এক দরিদ্র কৃষক তার বাগানে একটি আম খেয়ে সেই আঁটি পুতেছিলেন|আঁটি বা গুটি থেকে জন্মায় বলে এই আম গাছের এমন নামকরণ|